
নিজেস্ব প্রতিবেদক: তরমুজ একটি উৎকৃষ্ট ও তৃপ্তিদায়ক ফল। গরমকালের উপকারী ফল তরমুজ। গরমের দিনে ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে লবণ ও পানি বেরিয়ে যায়- যা পূরণ করতে সাহায্য করে তরমুজ। এছাড়াও তরমুজে রয়েছে লাইকোপিন, যা একটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। গবেষণায় দেখা গেছে ক্যানসার ও ডায়বেটিসের প্রতিবন্ধক হিসেবে এটি কাজ করে সুস্থ জীবনধারা উপহার দেয়। এছাড়াও একজন মানুয়ের যে পরিমান ভিটামিন ’এ’ দরকার কার ৩০ শতাংশ পূরণ করে থাকে এক টুকরো তরমুজ। তরমুজের ভিটামিন ’এ’ ও ’সি’ চামড়া রাখে নরম, ত্বক করে মসৃণ ও কোমল। তাই তরমুজ চাহিদা ও বেশি। চাহিদা থাকার কারনে চাষিরাও তরমুজ চাষে বেশ আগ্রহী হয়ে উঠছে।
মানব মুক্তি সংস্থার বাস্তবায়নে এবং পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে কৃষি ইউনিট (কৃষি খাত) এর আওতায় উল্লাপাড়া উপজেলার সলংগা থানা বাদেকুশা গ্রামের জহুরুল ইসলাম, আশরাফ আলী, আব্দুল মালেক, মোঃ মাজেদ আলী নামের ০৪ জন কৃষককে উদ্ধুদ্ধকরণের মাধ্যমে তরমুজ চাষ করানো হয়। এখানে ৩ জাতের তরমুজ চাষ করা হয়। সুইট গোল্ড, অনুভব ও ব্ল্যাক বেবি জাতের তরমুজ চাষ করা হয়। ব্ল্যাক বেবি তরমুজ কালো রঙের হয়ে থাকে। ভিতর টকটকে লাল এবং অত্যন্ত মিষ্ট হয়ে থাকে। এটি সাইজে মাঝারি এবং ওজনে সর্বোচ্চ ৩-৪ কেজি হয়ে থাকে। অনুভব ও সুইট গোল্ড জাতের তরমুজ ও মাঝারি সাইজের এবং বাজারে এই জাতের তরমুজের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
মানব মুক্তি সংস্থার কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মোস্তফা কামাল এবং সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মোঃ জিল্লুর রহমানের কারিগরি সহায়তা প্রদান করে থাকেন। তাদের পরামর্শে কৃষকগণ বেড আকারে মালচিং পদ্ধতিতে তরমুজ চাষ করেছেন। মালচিং পদ্ধতিতে চাষ করার ফলে উৎপাদন খরচ অনেক কম হয়েছে। তাছাড়া মাটিতে তরমুজ চাষ না করে মাঁচায় তরমুজ চাষের ফলে ফলনও অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। মাটির তরমুজের চেয়ে মাঁচার তরমুজের চাহিদা বাজারে অনেক বেশি রয়েছে ফলে ভালো দাম পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রতিজন কৃষকের তরমুজ চাষে আনুমানিক খরচ হয়েছে ৩০০০০/- (ত্রিশ হাজার) টাকা মাত্র এবং প্রত্যেকে আশা করছেন ৮০০০০/- (আশি হাজার) টাকার তরমুজ বিক্রয় করবেন।
চাষীদের ভাষ্যমতে মানব মুক্তি সংস্থা আমাদের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ফসলাদি চাষে নানা রকম পরামর্শ দিয়ে থাকে। মান্ধাত্মা আমলের চাষাবাদ থেকে বেরিয়ে এসে কিভাবে আধুনিক উপায়ে চাষাবাদ করব এবং উৎপাদন খরচ কমিয়ে কিভাবে লাভবান হবো সে ব্যাপারে সার্বক্ষণিক পরামর্শ দিয়ে আসছেন।
উল্লাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছা:সুবর্না ইয়াসমিন বলেন, রাজশাহী বিভাগে বারোমাসি তরমুজ চাষের প্রকল্প চলমান আছে। বারোমাসি তরমুজ চাষে দিন দিন কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে।#