
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার পূর্ণীমাগাতী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অরিন ইসলাম এর অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। উপজেলার পূর্ণীমাগাঁতী ইউনিয়নের গোয়ালজানি গ্রামের মালেক হোসেনের ছেলে অরিন ইসলাম ২০২২ সালে নিষিদ্ধ সংগঠনের ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ছিলেন।
অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হওয়ার পর এলাকার জামায়াত বিএনপির নেতাকর্মীদের পুলিশ দিয়ে হয়রানি করত। এলাকায় কেউ অরিন এর বিরুদ্ধে কথা বললেই তাকে মারপিট করা হতো। ছাত্রলীগ নেতা অরিন ইসলাম ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে তাদের গ্রাম গোয়ালজানি ভোটকেন্দ্রে বিগত ডামি নির্বাচনে আধিপত্য বিস্তার করে নৌকার পক্ষে ভোট নিয়েছেন। তার বাবা মালেক হোসেন এজেন্ট ছিলেন নৌকার প্রার্থী শফিকুল ইসলাম শফির।
৫ আগষ্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ছাত্রলীগ নেতা অরিন ইসলাম ও তার পরিবার রাতারাতি বিএনপি বনে গেছে। নিজেকে তারা বিএনপি পরিচয় দিয়ে এলাকার সাধারণ মানুষ কে আওয়ামী লীগের ট্যাগ দিয়ে মারধর করছে। গোয়ালজানি এলাকার পল্লী বিদ্যুৎ বোর্ডের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির সাথে জমি সংক্রান্ত পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তাকে আওয়ামী লীগ ট্যাগ দিয়ে মেরে রক্তাক্ত করেছে অরিন ইসলাম। এছাড়াও অরিন এর অত্যাচারে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়েছে, সাধারন মানুষ কে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গোয়ালজানি গ্রামের অনেকেই জানান অরিন ইসলাম ও তার পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন এবং জাতীয় নির্বাচনে নৌকার ভোট কারচুপি করেছেন। এবং বর্তমানে নিজেদের বিএনপি পরিচয় দিয়ে অনেক সাধারণ মানুষ কে আওয়ামী লীগ ট্যাগ দিয়ে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে, মারধর ও করেছে।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা অরিন ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি জানায় সে কখনোই ছাত্রলীগের সাথে জড়িত ছিলেন না এবং নিজেকে বিএনপি পরিবারের সন্তান বলে দাবি করেন এবং তার নামে রাজনৈতিক মামলায় রয়েছে বলে জানান।
এ বিষয়ে পূর্নীমাগাঁতী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ জানায় অরিন ইসলাম ছাত্রলীগের রাজনীতি এবং বিভিন্ন প্রোগ্রামে যেতো, সে সক্রিয় কর্মী ছিলেন। তবে সাংগঠনিক সম্পাদক পদ রয়েছে কিনা বিষয়টি তার জানা নেই।