
নিজস্ব প্রতিবেদক: সাম্প্রতিক সময়ে কিছু টেলিভিশন ও অনলাইন অনুষ্ঠানে উপস্থাপকদের কুরুচিকর ও অবান্তর প্রশ্ন নেটিজেনদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। প্রশ্ন উঠছে—এমন কনটেন্টের দায় কাদের?
জনপ্রিয় উপস্থাপক ও নির্মাতা দেবাশীষ বিশ্বাস বিষয়টিকে সরাসরি অপরাধ হিসেবে দেখছেন। তার ভাষায়,
“সস্তা জনপ্রিয়তার আশায় কিছু উপস্থাপক অতিথিদের অপ্রাসঙ্গিক ও কুরুচিকর প্রশ্ন করছেন। এটা নিঃসন্দেহে অপরাধ। কেবল উপস্থাপক নয়, আয়োজক ও সংশ্লিষ্ট মাধ্যমও দায় এড়াতে পারে না। সবাইকে আইনের আওতায় আনা উচিত।”
তিনি আরও বলেন,
“আমাদের সময় উপস্থাপনা ছিল একটি শিল্প। ফজলে লোহানী, আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, আনিসুল হক, হানিফ সংকেতরা ছিলেন আদর্শ। অতিথিকে অসম্মান করার অধিকার কারও নেই।”
জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও উপস্থাপক পূর্ণিমা বলেন,
“এই ধরনের অনুষ্ঠানে কারা অংশ নিচ্ছেন বা কারা উপস্থাপনা করছেন, অনেক সময় আমরা জানি না। তবে কুরুচিপূর্ণ প্রশ্ন নিয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে শুনে স্বস্তি লাগছে।”
চলমান পরিস্থিতি নিয়ে মত দিয়েছেন উপস্থাপক মৌসুমী মৌ-ও। তিনি বলেন,
“এই দায় কেবল উপস্থাপকের নয়। প্রযোজক, পরিকল্পনাকারী এবং যে চ্যানেলে অনুষ্ঠানটি প্রচারিত হচ্ছে, তারাও সমানভাবে দায়ী। ভাষা ও বিষয়বস্তুর বিষয়ে সতর্ক না থাকলে সামাজিক অবক্ষয় রোধ করা সম্ভব নয়।”
বিশেষজ্ঞদের মতে, অনুষ্ঠানের শালীনতা বজায় রাখা কেবল রুচির প্রশ্ন নয়, নৈতিক দায়িত্বও। বিনোদনের আড়ালে অবমাননাকর কনটেন্ট সমাজে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের ওপর।