উপজেলায় আরও বিভক্ত হল আওয়ামী লীগ

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রথম ধাপে উপজেলা নির্বাচনের ফলাফলে দেখা গেছে আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগের লড়াই হয়েছে। বিভিন্ন উপজেলাগুলোতে আওয়ামী লীগের মধ্যে লড়াই করে জিতেছে। এর ফলে উপজেলা নির্বাচনের ফলাফল যাই হোক না কেন আওয়ামী লীগের মধ্যে বিভক্তি আরও তীব্র আকার ধারণ করলো বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

উপজেলা নির্বাচনে আত্মীয় স্বজনদের কারণে স্থানীয় পর্যায়ে অনেক ত্যাগী পরীক্ষিত নেতা পরাজিত হয়েছেন। আবার অনেক জায়গায় ত্যাগী পরীক্ষিত নেতারা বিজয়ী হয়েছেন। কিন্তু এই বিজয় বা পরাজয় আওয়ামী লীগের কোন্দল মেটাতে পারেনি। বরং অনেকেই মনে করছেন, এর ফলে আওয়ামী লীগের কোন্দল এবং বিভক্তি আরও বেড়ে যাবে। উপজেলা নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চমক ছিল নোয়াখালীর সুবর্ণচর। সেখানে আওয়ামী লীগের পরীক্ষিত এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সেলিম পরাজিত হয়েছেন একরামুল করিম চৌধুরীর পুত্র সাবাব চৌধুরীর কাছে। এটি তৃণমূলের মধ্যে একটা বড় ধরনের নাড়া দিয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে দেখা গেছে যে, আওয়ামী লীগের মন্ত্রী এবং এমপিদের সমর্থিত প্রার্থীরা পরাজিত হয়েছেন।’

উপজেলা নির্বাচন গুলোর মধ্যে যেখানে যেখানে মন্ত্রী এবং এমপিদের স্বজনেরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে সেখানে নির্বাচন হচ্ছে উত্তেজনাপূর্ণ এবং এই উত্তেজনার কারণে স্থানীয় আওয়ামী লীগ পুরোপুরিভাবে ভেঙে পড়েছে। এমন একটা অবস্থা তৈরি হয়েছে যে, আওয়ামী লীগের সঙ্গে আওয়ামী লীগের মুখ দেখাদেখি রীতিমতো বন্ধ হয়ে গেছে। এটি আওয়ামী লীগের জন্য ভবিষ্যতে বড় ধরনের সমস্যা তৈরি করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আওয়ামী লীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য স্বীকার করেছেন যে, উপজেলা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী যে কৌশল গ্রহণ করেছিলেন, সেই কৌশল যদি বাস্তবায়িত হত তাহলে আওয়ামী লীগে বিভক্তি থাকত না। এসময় প্রধানমন্ত্রী চেয়েছিলেন মন্ত্রী-এমপিরা নির্বাচন থেকে দূরে থাকবেন। তৃণমূলের নেতারা যে যার মতো করে নির্বাচন করবেন এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ যাকে ভোট দিবে তিনি বিজয়ী হবেন। কিন্তু সমস্যা দেখা দেয় মন্ত্রী-এমপিদের ভূমিকা। মন্ত্রী-এমপিরা তাদের আত্মীয় স্বজন অথবা নিজস্ব লোককে জেতানোর জন্য শুরু থেকেই নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার প্রভাব বিস্তার শুরু করেন। অনেক জায়গায় তারা এমন পরিস্থিতি তৈরি করেন যে আওয়ামী লীগের অন্য প্রার্থীরা নির্বাচনে প্রচারণার জন্য সুযোগ পাচ্ছিলেন না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই সমস্ত উপজেলাগুলোতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং ভোটার উপস্থিতি কম হয়। তারচেয়েও বড় কথা হলো এ ধরনের অবস্থান গ্রহণের ফলে আওয়ামী লীগের মধ্যে দুটি পক্ষ হয়ে গেছে এবং তারা একে অন্যের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি আক্রমণের ঘটনাও ঘটিয়েছে কোথাও কোথাও। উপজেলা নির্বাচনের পর বেশ কয়েকটি জায়গায় সহিংসতার ঘটনাও খবর পাওয়া গেছে। এই বিভক্তি আওয়ামী লীগ কীভাবে মেটাবে সেটি হলো দেখার বিষয়।’

Facebook
Twitter
WhatsApp
Pinterest
Telegram

এই খবরও একই রকমের

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ তরুণীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক: হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় ২০ বছর বয়সী জুমি আক্তার গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তিনি উপজেলার সদর চৌষতপুর গ্রামের কমরু মিয়ার মেয়ে। বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজের

২২ ভিআইপির মুক্তিযোদ্ধা সনদ নিয়ে তদন্ত, সাত সাবেক মন্ত্রীসহ তলব

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাবেক সাত মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, সেনা কর্মকর্তা, বিচারপতি, সাবেক আইজিপি ও সচিবসহ ২২ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির মুক্তিযোদ্ধা সনদের বৈধতা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে

তাড়াশে গ্রীন বাংলাদেশ ক্লিন বাংলাদেশ নিয়ে কাজ করছে ভিলেজ ভিশন 

লুৎফর রহমান তাড়াশ: গ্রীন বাংলাদেশ ক্লিন বাংলাদেশ এই প্রতিপাদ্য সমানে সামনে নিয়ে সিরাজগঞ্জের তাড়াশে অর্জুন, বহেরা,নিম, বট, পলাশ, জারুল, কৃষ্ণচূড়া, কাঠবাদাম, জাম ,আমলকি সহ ৬০

কোনো অবস্থাতেই গাজায় যুদ্ধবিরতি নয় : ইসরায়েল

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের হাতে জিম্মি ২ শতাধিক ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিকদের মুক্ত করা ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর অন্যতম লক্ষ্য; তবে সেজন্য গাজায়

উত্তরায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ‘হেলমেট পরে’ গুলি

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর উত্তরায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, মাইলস্টোন কলেজসহ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে। এছাড়াও কিছু বিক্ষোভকারী দাবি করেছেন যে ক্ষমতাসীন

মাদক সম্রাটকে ছেড়ে দেওয়ায় ১০ পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড

নিজস্ব প্রতিবেদক: এক কিশোরকে তুলে নিয়ে মাদক দিয়ে চালান দেওয়ার ভয় দেখিয়ে চাঁদা দাবি ও অর্থ নিয়ে মাদক সম্রাটকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার