কক্সবাজার প্রতিনিধি: মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বাংলাদেশের উখিয়া ও নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তসংলগ্ন এলাকায় বৃহস্পতিবার রাতভর তীব্র গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। এ ঘটনায় সীমান্তবর্তী এলাকায় উদ্বেগ ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাত ১১টার পর থেকে শুরু হওয়া গোলাগুলির শব্দ শুক্রবার ভোর পর্যন্ত থেমে থেমে চলতে থাকে। কক্সবাজারের উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়ন ও বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দারা রাতভর আতঙ্কে কাটান।
পালংখালীর রহমতের বিল, ধামনখালী, থাইংখালী, বালুখালী ও তুমব্রু পশ্চিমপাড়া এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা জানান, রাত ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত গোলাগুলির শব্দ এতটাই তীব্র ছিল যে ঘর থেকে বের হওয়া সম্ভব হয়নি।
উখিয়া ৬৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, “বালুখালী বিওপির কাছাকাছি মিয়ানমারের ভেতর থেকে গুলির শব্দ শোনা গেছে। আমরা সতর্ক অবস্থানে থেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। বর্তমানে সীমান্তে শান্ত পরিবেশ বিরাজ করছে।”
উখিয়া ও টেকনাফের কয়েকটি রোহিঙ্গা শিবিরের মাঝিরা জানান, সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের মংডু জেলার ঢেকুবনিয়া এলাকায় রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে রাখাইন নিয়ন্ত্রিত আরাকান আর্মির সংঘর্ষ চলছে।
পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে দাবি করেছেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ গোলাগুলির একটি গুলি বাংলাদেশে আশ্রিত ১২ নম্বর অস্থায়ী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এসে রোহিঙ্গা আহত করেছে।
তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিজিবির কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল জসিম উদ্দিন বলেন, “বাংলাদেশের ভেতরে গুলি আসার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর অবস্থান সীমান্ত থেকে অনেক দূরে।”
উল্লেখ্য, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সরকারি বাহিনী ও আরাকান আর্মির মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে সংঘর্ষ তীব্র আকার নিয়েছে। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে আরাকান আর্মি রাখাইন অংশের পুরো ২৭১ কিলোমিটার সীমান্ত নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার দাবি করে। এরপর থেকেই ওই অঞ্চলে তাদের নিয়ন্ত্রণ বজায় রয়েছে।
ইপেপার
Copyright © 2025 ThikanaTV.Press. All rights reserved.