চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি: বহুল আলোচিত চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে তথাকথিত জঙ্গিবিরোধী অভিযান ‘অপারেশন ঈগল হান্ট’ মামলায় নোয়াখালীর সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আসাদুজ্জামানকে ২ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন চৌধুরী রিমান্ডে নেওয়ার এই নির্দেশ দেন। বিকেল ৩টায় আসাদুজ্জামানকে আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তদন্ত কর্মকর্তা শিবগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এসএম শাকিল হাসান তার ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করলে আসামিপক্ষ রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিন সকালে একই আদালতে তাকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। নোয়াখালী কারাগার থেকে আসাদুজ্জামানকে শিবগঞ্জ আমলী আদালতে হাজির করা হয়। ঘটনার সময় তিনি কাউন্টার টেররিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)র এডিসি ছিলেন। আসাদুজ্জামান ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরেও নোয়াখালীর পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
এদিকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুল ওদুদ জানান, পুলিশ অফিসার ও পুলিশের বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা মিলে যড়যন্ত্র করে শিবগঞ্জের একটি বাড়িতে জঙ্গী নাটক মঞ্চস্থ করা হয়। জঙ্গী নাটক সৃষ্টি করে আবুল কালাম আবু নামে এক মুদি দোকানিকে হত্যা করে। পরে হেলিকপ্টরে আরও তিনটি বস্তাবন্দী লাশ বের করে ওই বাড়িতে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে তাদের পেটের মধ্যে বোমা বেঁধে রেখে রিমোট কন্ট্রোল দ্বারা বিষ্ফোরক ঘটানো হয়। নৃশংস এ ঘটনার ৭ বছর পর ২০২৪ সালের ৩ অক্টোবর শিবগঞ্জ থানায় মামলা করেন নিহত আবুর স্ত্রী সুমাইয়া খাতুন। এই মামলা সাবেক এসপি তৎকালীন কাউন্টার টেররিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের এডিসি আসাদুজ্জামানকে দুই দিনের রিমান্ড দিয়েছে আদালত।
উল্লেখ্য যে, পুলিশের দায়ের করা ঈগল হান্ট'র মামলা নিম্ন আদালতে এখনো চলমান রয়েছে। যেখানে সাধারণ নিরীহ বহু মানুষকে উক্ত মামলায় এখনো আদালতে হাজিরা দিয়ে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। মামলার ঘানি টানতে গিয়ে বহু পরিবার আজ নিঃস্ব। এমন অবস্থা থেকে দ্রুত মুক্তি চায় এসব পরিবার।
ইপেপার
Copyright © 2025 ThikanaTV.Press. All rights reserved.