
নিজস্ব প্রতিবেদক: ইসলামী ব্যাংকে কোনো নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বা পরীক্ষা ছাড়াই চাকরিতে আসা কর্মীদের যোগ্যতা যাচাই পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে নতুন করে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। গত শনিবার অনুষ্ঠিত ওই পরীক্ষায় অংশ নেয়নি ৪ হাজার ৯৫৩ জন কর্মী। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাদের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করেছে। একই সঙ্গে চাকরি বিধি লঙ্ঘনের দায়ে ২০০ কর্মীকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
এ ঘটনায় রোববার ও সোমবার চট্টগ্রামের পটিয়ায় বিক্ষোভ করে একদল কর্মী। পরে পুলিশ তাদের সরে যেতে বাধ্য করে।
এর আগে চট্টগ্রাম চাক্তাই শাখার কর্মকর্তা মো. জিয়া উদ্দিন নোমানসহ কয়েকজন কর্মকর্তা হাইকোর্টে রিট করেন। গত ২১ আগস্ট হাইকোর্ট বাংলাদেশ ব্যাংককে বিষয়টি জরুরি ভিত্তিতে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেয়। পরবর্তীতে বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, ইসলামী ব্যাংক একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রচলিত আইন ও নীতিমালার আলোকে নিজস্ব সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
ইসলামী ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও মানবসম্পদ উন্নয়ন বিভাগের প্রধান ড. কামাল উদ্দীন জসীম জানান, ২০১৭ থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত নিয়ম বহির্ভূতভাবে নিয়োগ পাওয়া কর্মীদের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএর মাধ্যমে যোগ্যতা মূল্যায়ন পরীক্ষা আয়োজন করা হয়। যারা পরীক্ষায় অংশ নেয়নি তাদের ওএসডি করা হয়েছে। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনৈতিক আচরণ ও চাকরি বিধি লঙ্ঘনের কারণে কিছু কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, অনেক কর্মীর একাডেমিক সনদ যাচাইয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছে। বিজিসি ট্রাস্ট ও পোর্ট সিটি বিশ্ববিদ্যালয় কিছু সনদ যাচাইয়ে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। ইতোমধ্যে জাল সনদ প্রমাণিত হওয়ায় কয়েকজনকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
বর্তমানে ইসলামী ব্যাংকে ২১ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন। এর মধ্যে ২০১৭ থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত প্রায় ১১ হাজার নিয়োগ পান, যাদের অধিকাংশের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নিয়ম অনুসরণ করা হয়নি।
ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ইসলামী ব্যাংক একটি শরীয়াহভিত্তিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং রাষ্ট্রীয় নিয়ম ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার নীতিমালা মেনেই পরিচালিত হচ্ছে। সাম্প্রতিক ঘটনাবলিকে কেন্দ্র করে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য গ্রাহক ও শুভানুধ্যায়ীদের অনুরোধ জানানো হয়েছে।











