
অনলাইন ডেস্ক: ইরানের হামলায় বিধ্বস্ত তেল আবিব ইরানের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে অর্থনৈতিক সংকটের মুখে ইসরাইল। শুধুমাত্র ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় প্রতিরাতে ইসরাইলের খরচ প্রায় ২৮ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার। ইসরাইলি গণমাধ্যম দ্যা মার্কারের প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
সাবেক আইডিএফ (ইসরাইলি সেনাবাহিনী) চিফ অব স্টাফের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রীম আমিনোয়াচ ইনেট স্টুডিওকে জানিয়েছেন, ইসরাইলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাগুলো এক রাত চালু রাখার খরচ কতটা বেশি এবং এর তুলনায় ইরানের ব্যয় কতটাই না কম।
সামরিক বিশ্লেষকরা বলছেন, যুদ্ধের মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে ইসরাইলের অর্থনীতিতে। যুদ্ধের প্রথম ৪৮ ঘণ্টাতেই খরচ হয়েছে প্রায় দেড়শ কোটি ডলার।,
শনিবার রাত থেকে রোববার ভোর পর্যন্ত ইরান ইসরাইলের ওপর যে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, তা ইসরাইলের উন্নত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সফলভাবে প্রতিহত করে। কিন্তু সেই প্রতিরক্ষা ব্যয় যে ছিল বিশাল, তা নিয়ে পরদিনই প্রশ্ন ওঠে—ঠিক কত খরচ হলো?
এই প্রশ্নের জবাবে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রীম আমিনোয়াচ বলেন, যদি আমরা বলি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র থামাতে অ্যারো সিস্টেম ব্যবহার করতে হয়, ক্রুজ মিসাইল থামাতে আলাদা ক্ষেপণাস্ত্র লাগে, আর ইউএভি বা ড্রোন নামাতে হলে বিমান ব্যবহার করতে হয়—তাহলে এই খরচ যোগ করলে দাঁড়ায়: অ্যারো ক্ষেপণাস্ত্রের দাম ৩.৫ মিলিয়ন ডলার, ডেভিড’স স্লিং ক্ষেপণাস্ত্র ১ মিলিয়ন ডলার, বিমানের ব্যয় আলাদা। সব মিলিয়ে আনুমানিক ৪-৫ বিলিয়ন শেকেলের মতো।”