
ঠিকানা ডেস্ক: মার্কিন কর্মকর্তাদের মতে, ইরান ক্ষেপণাস্ত্র ও অন্যান্য সামরিক অস্ত্র প্রস্তুত রেখেছে এবং হামলার ক্ষেত্রে ইরাক, বাহরাইন, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিগুলোকে প্রাথমিক লক্ষ্য হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র যদি ইসরায়েলের সঙ্গে একত্রিত হয়ে ইরানে হামলা চালায়, তাহলে মধ্যপ্রাচ্যের মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলোর ওপর পাল্টা হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইরান। এ তথ্য জানিয়েছেন মার্কিন গোয়েন্দা বিশ্লেষকেরা, যারা সম্প্রতি সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা প্রতিবেদন পর্যালোচনা করেছেন। খবর নিউইয়র্ক টাইমস।
মার্কিন কর্মকর্তাদের মতে, ইরান ক্ষেপণাস্ত্র ও অন্যান্য সামরিক অস্ত্র প্রস্তুত রেখেছে এবং হামলার ক্ষেত্রে ইরাক, বাহরাইন, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিগুলোকে প্রাথমিক লক্ষ্য হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যে ৩৬টি রিফুয়েলিং ট্যাংকার বিমান ইউরোপে পাঠিয়েছে, যা যুদ্ধবিমান ও বোমারু বিমানকে দীর্ঘ সময় আকাশে রাখার সক্ষমতা দেবে। এছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাত, জর্ডান এবং সৌদি আরবে অবস্থানরত ৪০ হাজারের বেশি মার্কিন সেনাকে উচ্চ সতর্কতায় রাখা হয়েছে।,
ইরানের দুই কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, যুক্তরাষ্ট্র যদি ইসরায়েলের পক্ষে সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে, তবে ইরান তাৎক্ষণিকভাবে ইরাকে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিতে পাল্টা হামলা চালাবে, এবং এমন সব আরব দেশগুলোকে নিশানা করবে, যারা যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের মাটি ব্যবহার করতে দেবে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি হামলায় জড়িয়ে পড়ে, তবে ইরান হরমুজ প্রণালিতে মাইন পুঁতে বিশ্ব তেল সরবরাহে বড় ধাক্কা দিতে পারে। পাশাপাশি হুথি বিদ্রোহীরা আবারো লাল সাগরে জাহাজে হামলা শুরু করতে পারে এবং ইরাক-সিরিয়ার ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়ারা মার্কিন ঘাঁটিতে আঘাত হানতে পারে।
ডিফেন্স প্রায়োরিটিজ নামক সংস্থার মধ্যপ্রাচ্য প্রোগ্রামের পরিচালক রোজমেরি কেলানিক বলেন, যুদ্ধ এড়ানো কখনোই খুব দেরি হয়ে যায় না। কিন্তু একবার ঢুকে গেলে বের হওয়া অনেক কঠিন হয়ে পড়ে। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে, তাহলে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি বন্ধের পরিবর্তে দেশটির পরমাণু অস্ত্র তৈরির ইচ্ছা আরো জোরদার হতে পারে।
বিশ্লেষকদের মতে, যুদ্ধ শুরু হলে তা শুধু ইসরায়েল-ইরানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং গোটা মধ্যপ্রাচ্যে এক অভাবনীয় বিপর্যয় নামিয়ে আনবে।,