আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানের নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে দায়ের করা ইমরান খানের দল পিটিআই সমর্থিত প্রার্থীদের আবেদন গ্রহণ করে তিন আসনের ফল বাতিল করা হয়েছে।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি') ডনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ রাজনৈতিক দলগুলোর। এমনকি নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে আসনও ছেড়ে দিয়েছেন একাধিক প্রার্থী। বিষয়টি স্বীকারও করেছেন রাওয়ালপিন্ডি কমিশনার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের প্রকাশ করা তিন আসনের ফল ইসলামাবাদ হাইকোর্ট বাতিল করেছেন। এ ৩টি আসন হলো- সংসদীয় আসন এনএন-৪৬, ৪৭ ও ৪৮।
আদালতে পিটিআই সমর্থিত প্রার্থী আমির মোঘল, সোয়াইব শাহিন এবং মোহাম্মদ আলি বুখারি নির্বাচন কমিশনের ফলাফলের বিরুদ্ধে পিটিশন দাখিল করেন। নির্বাচন কমিশন এসব আসনে আঞ্জুম আকিল খান, তারিখ ফজল চৌধুরী ও রাজা খুররম শাহজাদ নওয়াজকে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন।
আদালতে পিটিশন দাখিলের আগে ১০ জানুয়ারি পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনে চ্যালেঞ্জ করেন প্রার্থীরা। তবে কমিশন স্থিতিবস্থা দিয়ে ১১ ফেব্রুয়ারি এসব আসনে বিজয়ী প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে।
ডন জানিয়েছে, আজ আদালতে শুনানি চলাকালে আদালত স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পিটিশন গ্রহণ করেছেন। এসব আসনে নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করা হয়েছে।'
এর আগে জিও নিউজ জানায়, কারচুপির অভিযোগ মাথা পেতে নিয়ে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডির কমিশনার লিয়াকত আলি চাথা। শনিবার লিয়াকত আলি বলেন, রাওয়ালপিন্ডির জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের ভোটে কারচুপি হয়েছে। এ কাজে তিনি সহায়তা করেছেন। এ জন্য বিবেকের তাড়নাবোধ থেকে পদত্যাগ করেছেন।
রাওয়ালপিন্ডি বিভাগে ১৩টি জাতীয় পরিষদ আসন এবং ১৭টি প্রাদেশিক পরিষদ আসন রয়েছে। এসব আসনের মধ্যে জাতীয় পরিষদে পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) প্রার্থীরা ১১টি আসনে নির্বাচিত হয়েছেন। বাকি দুটির একটিতে একজন স্বতন্ত্র এবং অন্যজন পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। অন্যদিকে প্রাদেশিক পরিষদের ২৭টি আসনের মধ্যে ১৫টি পিএমএল-এন এবং ১১টি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন।
লিয়াকত আলি বলেন, এই অন্যায়ের পেছনে কে জড়িত, তা কারও অজানা নয়। জাতীয় পরিষদের ১৩ জন প্রার্থী হেরে যান। কিন্তু তাদের ৭০ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়ী ঘোষণা করতে আমাদের বাধ্য করা হয়েছে।
তবে রাওয়ালপিন্ডির কমিশনারের এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) সংস্থাটি বলছে, কমিশনের কোনো কর্মকর্তা নির্বাচনের ফল পরিবর্তনের কোনো নির্দেশ দেননি।'