
নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর দক্ষিণখানে ১২ বছর বয়সী এক মাদ্রাসাছাত্রকে ধর্ষণের অভিযোগে ইয়াছিন মিয়া (৩২) নামের এক শিক্ষককে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে উত্তেজিত জনতা।
দক্ষিণখানের আশকোনা মেডিকেল রোডের মারকাযুস সুন্নাহ তাহেরিয়া ওয়ালিয়া মডেল মাদ্রাসার সামনে আজ শুক্রবার (১৪ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ গণধোলাইয়ের ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে থানা-পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।
এর আগে ওই মাদ্রাস ১২ বছর বয়সী এক ছাত্রকে মাদ্রাসার ভেতরেই বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) ইফতারের পর ধর্ষণ করেন ওই মাদ্রাসারই শিক্ষক ইয়াসিন মিয়া
ওই শিক্ষক হলেন, নরসিংদীর মরজাল উপজেলার মিলন মিয়ার ছেলে ইয়াছিন মিয়া। আশকোনা মেডিকেল রোডের একটি ভাড়া বাসায় বর্তমানে থাকতেন তিনি।
এলাকাবাসী জানিয়েছেন, বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে মারকাযুস সুন্নাহ তাহেরিয়া ওয়ালিয়া মডেল মাদ্রাসার শিক্ষক ইয়াছিন মিয়া একই মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণীর এক ছাত্রকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। সর্বশেষ গতকাল (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যার পরও এ ঘটনা ঘটিয়েছে। পরবর্তীতে রাত ৯টার দিকে এলাকাবাসী খবর পেয়ে ওই মাদ্রাসাটি ঘেরাও করে। তারপর অভিযুক্ত শিক্ষককে ধরে গণধোলাই দেয়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ধর্ষক ধর্ষক বলে শ্লোগান দিতে দিতে উত্তেজিত জনতা তাকে মারধর করছে। এসময় প্রায় তিন শতাধিক লোকজন উপস্থিত ছিল। পরে পুলিশ এসে ওই শিক্ষককে হেফাজতে নেয়।
এ বিষয়ে ডিএমপির দক্ষিণখান জোনের সরকারি পুলিশ কমিশনার (এসি) তারিকুল ইসলাম নাসিম বলেন, ‘মাদ্রাসা ছাত্রকে ধর্ষণের অভিযোগে মারকাযুস সুন্নাহ তাহেরিয়া ওয়ালিয়া মডেল মাদ্রাসার ইয়াছিন মিয়া নামের এক শিক্ষককে গণধোলাই দিয়েছে উত্তেজিত জনতা।’
তিনি বলেন, ‘পরবর্তীতে পুলিশ খবর পেয়ে ওই শিক্ষককে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। সেই সাথে ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়।’
এসি নাসিম বলেন, ‘সর্বশেষ গতকাল (বৃহস্পতিবার)’ মাদ্রাসার ভেতরেই ওই ছাত্রকে ধর্ষণ করেছেন বলে জানা গেছে। এর আগেও তিনি দুই বার ছাত্রটিকে ধর্ষণ করেছেন।’
এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানিয়েছেন এসি নাসিম।,