
নিজস্ব প্রতিবেদক: জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদি এবার ধারণ করা হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের প্রবেশদ্বার হিসেবে খ্যাত ঐতিহ্যবাহী জেলা ঝিনাইদহে। অনুষ্ঠানটি প্রচারিত হবে ৩০ মে, শুক্রবার, রাত ৮টায় বাংলাদেশ টেলিভিশনে, রাত ৮টার বাংলা সংবাদের পর।
দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও মানবিক মূল্যবোধ তুলে ধরার লক্ষ্যে নব্বই দশক থেকেই ইত্যাদি স্টুডিওর চার দেয়াল পেরিয়ে পৌঁছে যাচ্ছে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে। এই ধারাবাহিকতায় এবারের পর্ব ধারণ করা হয়েছে ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার দত্তনগরে, এশিয়ার বৃহত্তম কৃষি খামারের মাঝখানে অবস্থিত বটবৃক্ষ চত্বরে।
🎶 সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ও লোকসংগীত
অনুষ্ঠানে ঝিনাইদহের কিংবদন্তি লোককবি পাগলা কানাইয়ের কথা ও সুরে পরিবেশিত হয়েছে একটি লোকগান, কণ্ঠ দিয়েছেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী সেলিম চৌধুরী ও তসিবা। সংগীত পরিচালনায় ছিলেন মেহেদী।
এছাড়া খ্যাতিমান গীতিকবি মোহাম্মদ রফিকউজ্জামানের কথায়, কিশোর দাসের সুর ও সংগীত পরিচালনায় গেয়েছেন ঝিনাইদহেরই সন্তান জনপ্রিয় শিল্পী মনির খান।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই ঝিনাইদহকে ঘিরে পরিবেশিত হয় একটি পরিচিতিমূলক গান, যার কথা লিখেছেন শৈলকুপার সন্তান মনিরুজ্জামান পলাশ। গানটিতে কণ্ঠ দেন রাজিব ও তানজিনা রুমা; সুর করেছেন হানিফ সংকেত, সংগীত আয়োজন মেহেদী। নাচে অংশ নেন স্থানীয় শতাধিক নৃত্যশিল্পী। কোরিওগ্রাফি করেন মোহাম্মদ শাহিন ইসলাম।
👥 দর্শকপর্ব ও নাট্যাংশ
অনুষ্ঠানের দর্শকপর্বে নির্বাচিত চারজন দর্শক অংশ নেন একটি নাট্যাংশে, যেখানে ঝিনাইদহের ব্র্যান্ডিং পণ্য কলা ও পান নিয়ে উপস্থাপন করা হয় একটি হাস্যরসাত্মক নাটক। স্থানীয় ভাষায় নির্মিত এ নাট্যাংশ ছিল দর্শকপ্রিয় ও আনন্দদায়ক।
📚 প্রতিবেদন ও মানবিক বার্তা
ইত্যাদির ধারাবাহিকতায় এবারের পর্বেও প্রচারিত হবে ঝিনাইদহ জেলার ঐতিহাসিক স্থান, প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন, কীর্তিমান ব্যক্তিত্ব এবং জনগুরুত্বপূর্ণ স্থান ঘিরে তথ্যভিত্তিক প্রতিবেদন। থাকবে সচেতনতামূলক, মানবিক ও শিক্ষামূলক আয়োজনে সাজানো প্রতিবেদন এবং নাট্যাংশ।
নিয়মিত আয়োজন হিসেবে থাকছে চিঠিপত্র বিভাগ, বিদেশি প্রতিবেদন পর্ব, এবং সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সামাজিক অসঙ্গতি ও সমাজ সংস্কারভিত্তিক নাট্যাংশ।
🎬 নির্মাণ ও সম্প্রচার
ইত্যাদি রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন হানিফ সংকেত। অনুষ্ঠানটি নির্মাণ করেছে ফাগুন অডিও ভিশন, এবং স্পন্সর করেছে কেয়া কসমেটিকস লিমিটেড।
📺 বাংলার হৃদয়ে গাঁথা “ইত্যাদি” আবারও ছুঁয়ে যাবে শেকড়, সুর ও সমাজচিন্তার সমন্বয়ে–এবারে ঝিনাইদহের বটছায়ায়।