
নিজস্ব প্রতিবেদক: ৮ বছর আগের একটি ঘটনায় মামলা হয়েছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। তবে টাকার মাধ্যমে আপস করেছেন বিএপি নেত্রী। এমন ঘটনায় এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে মামলার চার্জশিট না হওয়ায় আপস করায় আদালতে গিয়ে বেকায়দায় পড়েন মামলার বাদী রফিকুল ইসলাম।
মামলা করেও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে ১৫ দিনের মাথায় গত ১৯ জানুয়ারি ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে আপস করেন মামলার বাদী রফিকুল ইসলামের স্ত্রী বিএনপি নেত্রী তাহমিনা আক্তার রিপা। তবে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করেন রফিকুল ইসলাম।
আট বছর আগে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলা মহিলা দলের আহ্বায়ক ও সাবেক উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তাহমিনা আক্তার রিপার স্বামীকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় চলতি বছরের ৪ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ নেতা নান্দাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাসান মাহমুদ জুয়েলকে প্রধান আসামি করে মামলা করেন ভুক্তভোগী রফিকুল ইসলাম। এ ছাড়া মামলায় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের আরও ১৬ জনকে আসামি করা হয়।’
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক এমপি খুররম খান চৌধুরী ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেন। ২০১৮ সালের ২২ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় নিজ বাসার নিচে বিএনপির নেত্রীর স্বামী রফিকুল ইসলাম পোস্টার টানাতে যান। সে সময় উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হাসান মাহমুদ জুয়েলের নেতৃত্বে ১৫০-১৬০ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে রফিকুল ইসলামকে কুপিয়ে জখম করে। এ ছাড়া মুদি দোকান থেকে লুটপাট করে ৫ লাখ ৪০ হাজার টাকার ক্ষতি করে। এ ঘটনার পর আহত রফিকুল ইসলাম ভারতের ভেলোর থেকে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হন।
এ বিষয়ে মামলার বাদী রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘নিজ মহল্লার চাপের মুখে আপস করেছি। তবে টাকা নিয়ে আপস হয়নি।’
উপজেলা মহিলা দলের সাবেক আহ্বায়ক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তাহমিনা আক্তার রিপা বলেন, ‘আসামিরা আমার হাত, পা ধরতেছে। তা ছাড়া আমি ভবিষ্যতে নির্বাচন করব, তাই স্বামীকে বলেছি মামলা আপস করে নিতে।’