
ডেস্ক রিপোর্ট: ফেনীর সোনাগাজীতে আসামি ধরতে গিয়ে শটগান-ওয়াকিটকি হারানোর ঘটনায় ছয় পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বুধবার (৮ অক্টোবর) রাতে তাঁদের ফেনী পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন সোনাগাজী সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) সৈয়দ মুমিদ রায়হান।
বরখাস্ত হওয়া সদস্যরা হলেন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সাইদুর রহমান ও মোফাজ্জল হোসেন, কনস্টেবল মাহবুব আলম, আইনুল করিম, কাঞ্চন ও হৃদয়। তাঁদের ফেনী পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
পুলিশের সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) ভোর ৫টার দিকে এএসআই সাইদুর ও মোফাজ্জলের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি আহাম্মদপুর গ্রামের আবুল হাশেমের দুই ছেলে জাহেদুল ইসলাম রিপন ও রফিকুল ইসলাম আরিফকে ধরতে তাঁদের বাড়িতে যায়।
সেই সময় আসামিপক্ষের সঙ্গে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে পুলিশের কাছ থেকে একটি শটগান ও একটি ওয়াকিটকি কেড়ে নিয়ে পালিয়ে যান তাঁরা।
ঘটনার পর সরকারি কাজে বাধা ও হামলার অভিযোগে ছয়জনকে আসামি করে পুলিশ একটি মামলা করে। ওই মামলায় রিপন, তাঁর ছোট বোন সাবিনা ইয়াসমিন ও ছোট ভাইয়ের স্ত্রী নিশুকে গ্রেপ্তার করে বুধবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।,
অন্যদিকে আসামিপক্ষের অভিযোগ, পুলিশ ষড়যন্ত্র করে নিরীহ পরিবারকে ফাঁসিয়েছে। রিপনের বোন রোকসানা আক্তার বলেন, ‘আমার ভাই নদীতে মাছ ধরে জীবিকা চালায়। সে ডাকাত নয়। সেদিন ঘরে আমার মা, দুই ভাই, আমি ও ভাবি ছিলাম। ছয়জন অস্ত্রধারী পুলিশের ওপর হামলা করা অসম্ভব। পুলিশ মিথ্যা মামলা দিয়েছে।’
সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ছয় পুলিশ সদস্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। গুরুতর কেউ ছিলেন না, শুধু হাতাহাতির মতো ঘটনা।
সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম বলেন, ‘রিপন ও আরিফের বিরুদ্ধে চুরি, ডাকাতি, মারামারি, চাঁদাবাজিসহ অস্ত্র আইনে ১২টি মামলা রয়েছে। ঘটনার পর আমরা ভোর থেকে সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ঘটনাস্থলে ছিলাম। পরে ফেনী থেকে অতিরিক্ত ফোর্স আসে।’
ফেনীর পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আসামি ধরতে গিয়ে তারা ব্যর্থ হয়েছেন। উল্টো শটগান ও ওয়াকিটকি ফেলে চলে এসেছেন। এটি দায়িত্বে ব্যর্থতা। এর দায় তাদের নিতে হবে।’