
নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রথম সচিব (ট্যাক্সেস লিগ্যাল অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট) ও অতিরিক্ত কর কমিশনার কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালকে দুর্নীতির দায়ে বদলি করা হয়েছে।রবিবার (৩০ জুন’) এনবিআরের কর প্রশাসন বিভাগের প্রথম সচিব মো. শাহিদুজ্জামান সই করা চিঠির সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। বগুড়া কর অঞ্চলের পরিদর্শী রেঞ্জ-১ হবে তার নতুন কর্মস্থল।
এনবিআরের আদেশে বদলির কারণ বলা না হলেও ‘জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। একই আদেশে বগুড়া কর অঞ্চলের পরিদর্শী রেঞ্জ-১-এর অতিরিক্ত কর কমিশনার মো. মনিরুজ্জামানকে এনবিআরের প্রথম সচিব (কর) হিসেবে বদলি করা হয়েছে।
এদিকে রোববার সকালে আগারগাঁওয়ের এনবিআর ভবনে গিয়ে কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালকে তার কক্ষে পাওয়া যায়নি। তার সহকর্মীরা জানান, তিনি আজ অফিসে আসেননি। আজ বিকেলে কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালের বক্তব্য জানতে তার মুঠোফোনে কল করে বন্ধ পাওয়া যায়। তাই তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার ঢাকার আদালতে কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালের অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিবরণ তুলে ধরে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক’) তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ফয়সাল ও তার স্ত্রীর নামে থাকা ঢাকা-নারায়ণগঞ্জে ৫ কাঠার দুটি প্লট, শ্বশুরের নামে থাকা ঢাকার রমনা এলাকায় একটি ফ্ল্যাট, খিলগাঁওয়ে শাশুড়ির নামে ১০ কাঠা প্লট জব্দের আদেশ দেন আদালত। ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এই আদেশ দেন।
এ ছাড়া ফয়সাল ও তার আত্মীয়স্বজনের নামে থাকা ১৯টি ব্যাংক ও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ৮৭টি হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দেওয়া হয়েছে। আদালতের আদেশে বলা হয়, এই জব্দের আদেশ কার্যকর থাকা অবস্থায় এসব সম্পদ হস্তান্তর বা বিনিময় করা যাবে না।
এর আগে এনবিআরের সদস্য মো. মতিউর রহমান ও তার পরিবারের নামে বিপুল সম্পদ থাকার বিষয়টি আলোচনায় আসে। এ ছাড়া পুলিশের সাবেক প্রধান বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের বিপুল সম্পদ থাকার বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে এসেছে। বিষয়টি অনুসন্ধান করছে দুদক। বেনজীর ও মো. মতিউর কীভাবে এত বিপুল সম্পদের মালিক হলেন, তা নিয়ে জাতীয় সংসদে প্রশ্ন তুলেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সদস্যরাও।’