
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে দেশটির বহু সেনা ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা। বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) শক্ত ঘাঁটি তাউং পিও (বাম) দখলে নিয়ে নিয়েছে আরাকান আর্মির যোদ্ধারা। তিন দিনের তীব্র লড়াইয়ের পর মঙ্গলবার মংডু শহরের এই চৌকি দখলে নেওয়ার ঘোষণা দেন তারা।
গত রবিবার আরাকান আর্মি একযোগে বিজিপির তাউং পিও (বাম) চৌকি এবং তাউং পিও (ডান) সেনা ঘাঁটিতে হামলা চালায়। ওই দিনই সেনা ঘাঁটিটি দখলে নেন তারা।
এরপরই লড়াইয়ে টিকতে না পেরে তিন শতাধিক মিয়ানমারের সেনা ও বিজিপি সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছেন।
এদিকে, মঙ্গলবার রাখাইন রাজ্যের আরও বেশ কয়েকটি শহর-ম্রাউক-উ, কিয়াউকতাও, রামরি, আন ও মিবোন শহরে জান্তা বাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মির লড়াই হয়েছে।
১০ দিনের মধ্যে রাখাইনের উত্তরাঞ্চলে জান্তা বাহিনীর আরও দুটি ঘাঁটি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন আরাকান আর্মির যোদ্ধারা।
মিয়ানমারের জান্তা সরকারকে উৎখাতে দেশটির বিভিন্ন জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠী লড়াই করছে। তারা ভ্রাতৃত্ব জোট (ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স) গড়ে তুলেছে। এই জোটের অন্যতম সদস্য আরাকান আর্মি।
গত বছর ২৭ অক্টোবর উত্তরাঞ্চলীয় শান রাজ্যে জান্তাবিরোধী বিশেষ অভিযান ১০২৭ শুরু করে তারা। এই রাজ্যের ২০টি শহর এবং চীনের সঙ্গে বাণিজ্যের গুরুত্বপূর্ণ পথসহ রাজ্যটির বেশির ভাগ এলাকা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে বিদ্রোহীরা।’
সূত্র: ইরাবতী