প্রিন্ট এর তারিখঃ মার্চ ১০, ২০২৫, ৮:০১ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৫, ৭:৫৫ অপরাহ্ণ
আরমান গেষ্ট হাউসে ভাংচুর-লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের

গত ২২ ফেব্রুয়ারী দুপুরে শহরের নিউ ঢাকা রোড (ট্রাক শ্রমিক অফিসের পার্শ্বে) আরমান গেষ্ট হাউসে এ ঘটনা ঘটে। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, গত ২৭ নভেম্বর ২০২১ সালে নিউ ঢাকা রোড (ট্রাক শ্রমিক অফিসের পার্শ্বে) জায়গায় ৫ বছর মেয়াদে ভাড়া নেয়। সেখানে তার অর্ধেক ঘর ছিল। সেখানে দোতালা ঘর তৈরী করে তাতে আরমান গেষ্ট হাউস নামক আবাসিক হোটেল দিয়ে ব্যবসা করে আসছে। কিন্তু চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ইসমাইল হোসেন উক্ত জায়গা ছাড়িয়া দিতে বলে। এতে অসম্মতি জানাইলে ইসমাইল হোসেন ক্ষিপ্ত হয়। এরই একপর্যায়ে গত ২২ ফেব্রুয়ারী পুলিশ সাহাদত হোসেনকে অন্য ঘটনা সংক্রান্তে গ্রেফতার করে। পরে পুলিশ আমার আবাসিক হোটেলে তারা লাগিয়ে দেয়। সেই তালা ভেঙ্গে ঐ দিন দুপুরের দিকে আরমান গেষ্ট হাউসে গিয়ে পৌর এলাকার মালশাপাড়া জাইলাপাড়ার মো. তামিম. উত্তর সারটিয়া গ্রামের মৃত জমশের আলী ছেলে ইসমাইল হোসেনসহ অজ্ঞাত ১২/১৫ জন হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করে আগুন ধরিয়ে দেয়।
অভিযোগকারী সাহাদত হোসেন বলেন, ইসমাইল হোসেন গংরা আমার আবাসিক হোটেলে আমার রুমের দরজার তালা ভেঙ্গে ভিতরে ডুকে রুমের পার্টেক্স এর বাক্সের তালা ভেঙ্গে বাক্সে রক্ষিত নগদ ৩ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা, ৩ ভরি স্বর্ণের গহনা, ১৪ ভরি রুপার গহনা, একটি বড় মাটির ব্যাংকে রক্ষিত অনুমানিক ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
তিনি আরো বলেন, আবাসিক হোটেলের সকল রুমের দরজার তালা ভাঙ্গিয়া আসবাবপত্র, লেপ তোষক ইত্যাদি যাবতীয় মালামাল ভাংচুর করে রাস্তার উপর নিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে আমার আবাসিক হোটেলের যাবতীয় আসবাবপত্র ও মালামাল ভাংচুর ও আগুন ধরিয়ে দেওয়ায় প্রায় ২ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করেছে। পরবর্তীতে আমি কোর্ট থেকে জামিনে মুক্ত হয়ে স্থানীয়দের নিকট থেকে ঘটনা বিস্তারিত জানতে পারি। পরে আমি এ বিষয়ে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের অবগত করে সদর থানায় এক মামলা দায়ের করি। বর্তমানে আমার হোটেলে ইসমাইল হোসেন তালা লাগিয়ে রেখেছে।
Copyright © 2025 ThikanaTV.Press. All rights reserved.