
নিজস্ব প্রতিবেদক: বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাজধানীর বনানীতে হোটেল শেরাটনে তার নেতৃত্বাধীন নতুন রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আ-আম জনতা পার্টির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।
রফিকুল আমীন বলেন, ‘ডেসটিনির কাছে যে বিল পাবে, যে টাকা পাবে, বর্তমান ম্যানেজমেন্টকেই দিতে হবে, রফিকুল আমীনকে যদি ফেরত দিতে হয়, রফিকুল আমীনকে আগের বোর্ডে নিয়ে আসতে হবে। এমডির পজিশনে বসাতে হবে। ওয়াদা করতেছি আমাকে এমডি পজিশনে দেয়া এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়ার এক মাস পর থেকে আমি টাকা দেয়া শুরু করব।’
তবে কীভাবে টাকা দেবেন, তা ব্যাখ্যা করেননি রফিকুল আমীন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাকে যখন সাজা শোনানো হয়, আমি তার আগে বলেছি, মাননীয় আদালত আমাকে যে সাজাই দেন, আমাকে পরিচালনা পরিষদে থাকার ব্যবস্থা করেন। আমাকে হুকুম দিয়ে দেন, আমি যাতে টাকাটা ফেরত দিই। আদালত আমাকে হুকুম দেননি, কারণ জানে আমাকে হুকুম দিলে আমাকে পরিচালনা পরিষদে রাখতে হবে। আমাকে পরিচালনা পরিষদ থেকে সরিয়ে দিয়ে সেখানে ১৭ জন এসেছে। সেখানে চারজন আছে বিগত সরকারের দেয়া।’
কারাগার থেকে বের হওয়ার পরে বর্তমান ব্যবস্থাপনা বোর্ড ডেসটিনির পরিচালনা বোর্ডে ঢুকতে দিচ্ছে না অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘ষড়যন্ত্র করে আমাকে বোর্ডে নেয়া হচ্ছে না। বিদেশে পলাতক তিনজন পরিচালক আছেন, তারাই এই ষড়যন্ত্র করছেন। তারা সব টাকাপয়সা নিয়ে দেশ ছেড়েছেন।’
উল্লেখ্য, ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেড ২০০১ সালের ৫ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে এবং প্রথম এক দশক সাফল্যের সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করে। তবে বিভিন্ন আইনি জটিলতার কারণে পরবর্তী এক দশক ধরে তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ ছিল। এক সময় দেশজুড়ে কোম্পানিটির প্রায় ৪৫ লাখ গ্রাহক ছিল।
মূলত ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি ও ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের নামে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ২০১২ সালের ৩১ জুলাই রফিকুল আমীনসহ ডেসটিনির কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক,) রাজধানীর কলাবাগান থানায় দুটি পৃথক মামলা দায়ের করে। এই দুটি মামলায় মোট ৪ হাজার ১১৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে রফিকুল আমীন এই মামলাগুলোতে দোষী সাব্যস্ত হন এবং কারাভোগ করেন।’
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট ডেসটিনি ২০০০-এর পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করে দেন। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ বড়ুয়া।’