লুৎফর রহমান তাড়াশ: সিরাজগঞ্জের তাড়াশে খ্রিস্টান ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শুভ বড় দিন পালিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেস্বর) সন্ধ্যা থেকে শুরু হয়েছে বড়দিন উপলক্ষে বিশেষ প্রার্থনা, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ও কেক কাটা অনুষ্ঠান। বুধবার সকাল থেকে চলছে চার্চে চার্চে শিশুদের শীতবস্ত্র, উপহার সামগ্রী বিতরণ, মধ্যাহ্নভোজসহ নানান আনুষ্ঠানিকতা। চার্চভিত্তিক অনুষ্ঠান ছাড়াও ঘরে ঘরে অতিথি অ্যাপায়ন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানান আয়োজন করা হয়।
দিনটি উদযাপনে বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে গুল্টা মিশনারী পাল পুরোহিত ফাদার কার্লো বুদজি পিমে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় বিশেষ প্রার্থনা পরিচালনা করেন।
পরে দুপুরে খ্রিষ্টান পল্লী গুল্টা আবে মাড়িয়া মিশনে কেক কাটা কাটেন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সুইচিং মং মারমা।
গুল্টা খ্রিস্টান পল্লীর চেয়ারম্যান লিখিল খাঁর সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুইচিং মং মারমা বলেন, এটি খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। এ উপলক্ষে সবার মঙ্গল কামনা করছি। পাশাপাশি বড়দিনে আমাদের বিশেষ প্রার্থনা হবে মানুষের মঙ্গল ও কল্যাণের জন্য, সবাই যেন বিশ্বজুড়ে শান্তিতে বসবাস করতে পারেন।
রনি ফ্রান্সিস তির্কী ও জেমস বিপ্লব এক্কার সঞ্চালনায়
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, তাড়াশ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর আমিনুর রহমান টুটুল, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মুসাব্বির হোসেন,ডাঃ আরোপ তর্প,শ্রী দিপক এক্কা প্রমূখ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পুলিশ, সেনাবাহিনী, র্ ্যাব ১২ এর সদস্য সহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
পরে উপস্থিত শিশু বাচ্চাদের মাঝে চকলেটসহ এছাড়া উপহার সামগ্রী বিতরণ তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সুইচিং মং মারমা।
উল্লেখ্য, খ্রিস্টধর্মের প্রবর্তক এইদিনে যীশু খ্রিস্ট ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে বেথলেহেম শহরে এক গোয়ালঘরে কুমারী মাতা মেরির কোলে জন্মগ্রহণ করেন।