
নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস আজ রোববার (৩ মার্চ’) বিপন্ন উপকূলের বন্যপ্রাণী। একটা সময় অহরহ বন্য প্রাণীর দেখা মিললেও এখন আর বন্যপ্রাণীদের দেখা মেলেনা। এখন আর শোনা যায়না বসন্তে কোকিলের কুহূকণ্ঠের ধ্বনি। পঁচা আর মরা কোন প্রাণী খেতে শকুন কিংবা কাক আসেনা। এসব বন্যপ্রাণী এখন বিলুপ্তির পথে।
পরিবেশ নিয়ে কাজ করা সংগঠনের দায়িত্বশীলরা জানিয়েছেন, খাদ্য আর বাসস্থানের সংকট প্রকট হওয়ায় এমন সংকট দেখা দিয়েছে বলে
তারা আরও জানান, নিষ্ঠুরভাবে বন উজাড়, অপরিকল্পিত নগরায়ন এবং পাখি শিকারিদের ফাঁদে উপকূল থেকে বন্যপ্রাণীদের আশংকাজনকভাবে বিলুপ্তি ঘটেছে।’
২০১৩ সালের ২৩ ডিসেম্বর জাতিসংঘের ৬৮ তম সাধারণ অধিবেশনে বন্যপ্রাণী দিবস হিসেবে ৩ মার্চ ঘোষণা করা হয়। ২০১৪ সালে প্রথম এ দিবসটি পালন করা হয়। বিশ্বের বন্যপ্রাণী এবং উদ্ভিদগুলির প্রতি গণসচেতনা বৃদ্ধি করাই এ দিবসের মূল লক্ষ্য।
প্রকৃতি সংরক্ষণ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা আইইউসিএনের গবেষণামতে বাংলাদেশ থেকে বিলুপ্ত প্রাণীর প্রজাতির সংখ্যা প্রায় ৩১টি। তবে এ সংস্থাটির দাবি বাংলাদেশে ১হাজার ৬০০ এর বেশি প্রজাতির প্রাণী রয়েছে, যাদের মধ্যে ৩৯০টি একেবারে শেষ হওয়ার পথে।
পরিবেশ ও প্রাণী নিয়ে কাজ করা সংবাদকর্মী মেজবাহ উদ্দিন মান্নু বলেন, বন উজাড়ের পাশাপাশি গ্রামের অধিকাংশ বাড়িতে বেশি বয়সের গাছ না থাকা এবং খাদ্য সংকটে অস্তিত্ব সংকটে এসব বন্যপ্রাণী। সচেতনতা বৃদ্ধি করে এসব প্রাণীদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে হবে সবাইকে।
এ্যানিমেল লাভারস অব পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা শাখার সদস্য মিরাজ মিজু বলেন, প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারণে বনাঞ্চলের ধ্বংস ও বন কর্মকর্তাদের উদাসিতায় বন উজাড় হওয়ায় অনেক প্রাণী বিলুপ্ত হচ্ছে।
কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর রেঞ্জের কর্মকর্তা আবুল কালাম বলেন, উপকূল থেকে প্রতিবছরই কমছে বন্যপ্রাণী তবে আমরা সচেতন হলে কমে আসবে বিলুপ্তির পরিমাণ।
বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (উপকূলীয় বন বিভাগ’) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, আধুনিক নগরায়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আশংকাজনকভাবে বন্যপ্রাণীদের উপস্থিতি কমছে। আমরা বন উজাড় থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করছি সবসময়।’