আগে দরকার সাংবাদিকদের সংস্কার

ঠিকানা টিভি ডট প্রেস: ক’দিন আগে ‘পুঁজিবাদের’ কাছে গণমাধ্যমের ‘মাথানত’ করার ‘উদ্বোধন’ করেছেন কিংবদন্তি সাংবাদিক শফিক রেহমান। দেড়-দুই দশকে বঞ্চিত অনেকে আগামীর ক্ষমতাসীনদের জন্য হাউজে হাউজে দূর্গ গড়ে তুলছেন। আগে যারা প্রেসক্লাব-ইউনিয়নে পেছনের চেয়ারে বসতেন, পেশা ছেড়ে গ্রামের বাড়ি গিয়ে খামার করতেন, তারা এখন ফিরছেন। শুধু ক্লাব-ইউনিয়নের চেয়ারই নয়, তারা বড় বড় হাউজের বড় বড় চেয়ারও লাভ করছেন।

তাহলে কি আগের ফরমেটেই ফিরছে গণমাধ্যম? শুনছি, বানের মতো টাকা ঢেলেও কাঙ্ক্ষিত মুনাফা না পেয়ে অনলাইনসহ কয়েকটি গণমাধ্যমের মালিক হতাশ। বলছেন, “আর পারছি না বাপু। শাটডাউন করে আমাকে উদ্ধার করো।” হাই-ব্র্যান্ডের গণমাধ্যমে সদ্য দায়িত্ব নেওয়া বড় সাংবাদিকরা এ নিয়ে কী ভাবছেন? সংবাদমাধ্যমকে ‘প্রফিটেবল’ (+জনপ্রিয়) করার পরিকল্পনা কী তাদের?

দিন শেষে মুক্তবাজার অর্থনীতিতে গণমাধ্যম তো একটা ‘বিজনেস’। নিউজ যেখানে বিক্রয়যোগ্য পণ্য। যার উৎপাদক সাংবাদিকরা। যে পণ্যের ব্র্যান্ড ভ্যালু তৈরি হয় ভালো, নিরপেক্ষ সাংবাদিকতায়। প্রফিটেবল না হলে বিনিয়োগ তো বন্ধ করবেনই মালিকরা। সবাই তো আর লতিফুর রহমান নন যে বলবেন, “টাকা যত লাগে নাও, আমার একনম্বর গণমাধ্যম চাই। ” আবার সবাই তো মতিউর রহমানও নন যে, বিজনেস আর সাংবাদিকতাকে একসুতোয় গাঁথতে জানবেন।

শুধু নিউজমিডিয়া বিজনেসের কমিউনিকেশনেই জোর দিয়েছিলেন সাংবাদিক শ্যামল দত্ত। শূন্য থেকে শুরু করে তাই দু’হাত ভরে মুনাফা লুটেছেন। নিউজকে পপুলার পণ্য বানানোর খেলায় পিছিয়ে থেকে গণমাধ্যমকর্মীদের বঞ্চিত করার কারণেই কি বন্ধ হয়েছে ভোরের কাগজ? ক্ষমতাসীন দলকে প্রমোট করে, বিজ্ঞাপনের সর্বোচ্চ রেট বাগিয়ে, দলদাস হয়ে, জনগণের অবিশ্বাস নিয়ে টিকে থাকবেন, নাকি পপুলার হয়ে মুনাফার প্রতিযোগিতায় নামবেন- এই প্রশ্নের উত্তর হাতে রেখেই নামতে হবে গণমাধ্যম সংস্কারে।

প্রশ্ন থেকেই যায়, মুক্তবাজার অর্থনীতিতে গণমাধ্যম যখন একটা ‘বিজনেস’ তখন এর সংস্কার কোন পথে, কীভাবে? অংশীজনদের বেশিরভাগই যখন পক্ষপাতিত্বের। “মুক্ত গণমাধ্যমের আবার সংস্কার কেন, সংস্কার মানেই তো সরকারের নিয়ন্ত্রণ”-এই প্রশ্ন রেখেছেন মানবজমিন সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী। সংবাদকর্মীদের ন্যুনতম বেতন ৫০ হাজার টাকার প্রস্তাবের পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক শেয়ার হয়েছে। প্রশ্ন, এই প্রস্তাবে উদ্যোক্তারা কী বলছেন?

নোট
>নব্বই দশকে সেরা সব পত্রিকার প্রবল জোয়ার, শূন্য দশকের পর ডজন ডজন টিভির আগমন, স্টার সাংবাদিকদের চমক, এর মধ্যেই অনলাইন সংবাদমিডিয়ার সুনামি-এতকিছুর পরও গণতন্ত্র-সুশাসন অধরাই থেকে গেছে। কারণ আমাদের সাংবাদিকতা প্রবলভাবে অতীতমুখী। নতুন প্রজন্মকে কানেক্ট করতে (পাঠক বানাতে?) পারেন না সাংবাদিকরা। তারা শুধু রাষ্ট্রই বোঝেন, সমাজ বোঝেন না। মননে-মগজে ঔপনিবেশিক আর দলদাসত্বের কারণেই তারা গণমাধ্যমের সংবাদভিত্তিক টেকসই বিজনেস মডেল তৈরি করতে ব্যর্থ হচ্ছেন। এই ব্যর্থতা কাটিয়ে উঠতেই আগে সংস্কারের রূপরেখা দরকার।

 

Facebook
Twitter
WhatsApp
Pinterest
Telegram

এই খবরও একই রকমের

‘সীমান্তে গুলিতে নিহত, অতঃপর লাশ হস্তান্তর বিএসএফের’

নিজস্ব প্রতিবেদক: লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নের আঙ্গোরপোতা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক রবিউল ইসলাম টুকলুর (৩৪) মরদেহ ফেরত দিয়েছে ভারত।

জানমাল রক্ষায় অপরাধীদের ছাড় না দেয়ার হুঁশিয়ারি: জেলাব্যাপী পুলিশি অভিযান জোরদার

জেমস আব্দুর রহিম রানা: সম্প্রতি যশোরাঞ্চলে অব্যাহত হত্যাকান্ড, অস্ত্রের মহড়া দিয়ে হত্যাচেষ্টা, ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ নানা সন্ত্রাসী তৎপরতার ঘটনায় জেলাব্যাপী সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান জোরদার করেছে পুলিশ। অতিরিক্ত

আয়াতুল্লাহ খামেনির ওপর হামলা চালাতে পারে ইসরায়েল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির ওপর হামলা চালাতে পারে দখলদার ইসরায়েল। শনিবার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বাড়িতে ড্রোন হামলা চালায় লেবাননের

কেএনএফের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনী, র‌্যাব, বিজিবি ও পুলিশের যৌথ অভিযান শুরু হচ্ছে

ঠিকানা টিভি ডট প্রেস: পরপর তিন দিন কয়েকটি হামলা, ব্যাংক ডাকাতি, অপহরণ, গোলাগুলি ও অস্ত্র লুটের ঘটনার পর বান্দরবানে সশস্ত্র গোষ্ঠী কেএনএফের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান

১৬ মার্চ: বঙ্গবন্ধু-ইয়াহিয়া বৈঠক

ঠিকানা টিভি ডট প্রেস: ১৯৭১ সালের এইদিনেও অব্যাহত ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে চলমান অসহযোগ আন্দোলন। ১৬ মার্চ সকালে ধানমণ্ডির বাড়ি থেকে বঙ্গবন্ধুর গাড়ি

ইজতেমা ময়দান এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি

নিজস্ব প্রতিবেদক: গাজীপুরের টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানসহ আশপাশের তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার ডা. নাজমুল করিম খান