
নিজস্ব প্রতিবেদক: নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জে আকষ্মিক ঘূর্ণিঝড়ে দুই ইউনিয়নের তিনটি গ্রাম লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। ভয়াবহ এই ঝড়ে ৫ শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে দুইজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
রবিবার (৫ অক্টোবর) সকালে উপজেলার গাড়াগ্রাম ইউনিয়ন ও চাঁদখানা ইউনিয়নের তিন গ্রামের উপর দিয়ে আকস্মিক এই ঘূর্ণিঝড় বয়ে যায়।,
সরেজমিনে জানা গেছে, বাড়ীঘর ভেঙ্গে পড়ে আছে, ঘরের চাল উড়ে গেছে, গাছপালা ভেঙে রাস্তা বন্ধ হয়ে আছে। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ মমিনুর রহমান বলেন, রাত থেকেই গুড়িগুড়ি বৃষ্টি চলছিলো। হঠাৎ সকাল নয়টার দিকে আকাশ কালো মেঘে ছেয়ে যায় এবং আকস্মিক প্রচন্ড ঘুর্নিঝড়ে এলাকা ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। চারিদিকে চিৎকার ও কান্নার রোল পড়ে যায়। দুইজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গুরুতর আহত একজনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
কিশোরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা দুর্গত এলাকায় সার্বক্ষনিক অবস্থান করে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষন ও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করছেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র জানান, ঘূর্ণিঝড় আক্রান্ত এলাকায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৩৩৮ প্যাকেট শুকনো খাবার, দুইশ পিস কম্বল ও পাঁচ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কিশোরগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালের পক্ষ থেকে জরুরী ঔষধপত্র ও খাবার স্যালাইন পাঠানো হয়েছে।
এদিকে বিকেলে জেলা প্রশাসক মো. নায়িরুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র ঘুর্নিঝড় আক্রান্ত এলাকা পরিদর্শন করে দূর্গতদের সর্বাত্মক সহযেগিতার আশ্বাস দেন।,











