নিজস্ব প্রতিবেদক: গত কয়েক মাসে রেকর্ডসংখ্যক বাংলাদেশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চাকরি নিয়ে গেলেও দেশের প্রবাসী আয় অর্জনের ক্ষেত্রে তার প্রতিফলন হয়নি। ঈদ ব্যতিত দেশে প্রবাসী আয় আসার হার তেমন ভাবে বাড়েনি। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে ২০২১ সালে দেশে যে পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে ২০২২ সালেও তা একই থেকেছে। এর ফলে রিজার্ভের ওপর চাপ বাড়ছে। উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের একটা বড় অংশ আসে প্রবাসী আয় থেকে। ফলে প্রবাসী আয় দেশের অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সেজন্য অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে প্রবাসী আয়ের ভূমিকা অনস্বীকার্য। কিন্তু প্রবাসী আয় নিয়ে এরই দুঃসংবাদ নিয়ে এসেছে।
উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশ জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) ছাড়পত্র পেয়েও মালয়েশিয়া সরকারের বেঁধে দেওয়া সময়ে দেশটিতে যেতে পারেননি ১৬ হাজার ৯৭০ জন বাংলাদেশি কর্মী। ফলে প্রায় ১৭ হাজার মালয়েশিয়া প্রবাসীর যেমন স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে তেমনি বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও সংকটের একটা হাতছানি দিতে বলেই মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা। তাছাড়া মালয়েশিয়ায় ৩১ হাজার বাংলাদেশি কর্মী যাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়ার মধ্য দিয়ে প্রবাসে শ্রমবাজার নিয়ে সরকারের গাফিলতি অনেকটা ফুটে উঠেছে'।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদভুক্ত (জিসিসি) দেশগুলোয় দুর্বল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কারণে প্রবাসী আয়ের প্রবাহ ৫ শতাংশে নেমে আসতে পারে। যার প্রভাব পড়বে প্রবাসী আয়ের ওপর।
অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, জনশক্তি রপ্তানি খাত দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পড়ছে। এ খাতকে স্বচ্ছতা, ভালো ব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতিমুক্ত করে শক্তিশালী করতে না পারলে প্রবাসী প্রবাহ বাড়বে না।
উল্লেখ্য, মালয়েশিয়ায় কর্মী ভিসায় যাওয়ার সময় শেষ হয়েছে গত শুক্রবার রাতেই। দেশটির সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওই দিনই আজই দেশটিতে কর্মীদের যাওয়ার শেষ সুযোগ ছিল। গতকাল শনিবার থেকে আর কোনো কর্মী মালয়েশিয়ায় যেতে পারবেন না। এ কারণে বাংলাদেশের অনুমোদনকৃত প্রায় ১৬ হাজার ৯৭০ জন বাংলাদেশি কর্মীর মালয়েশিয়া যাওয়ার স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে।'
ইপেপার
Copyright © 2025 ThikanaTV.Press. All rights reserved.