স্টাফ রিপোর্টারঃ পালিয়েছিলেন কয়েকদিন। অনেকের নিকটে দৌড়ঝাপও করেছেন। কিন্তু শেষমেশ আইনের নিকটে নিজে সমর্পণ করতে বাধ্য হয়েছেন। পুলিশ ছিলো তাকে ধরবার জন্যে সাড়াশি অভিযানের উপর। মিনু। আব্দুল মজিদ ওরফে তিনু তার নাম। সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার চাঞ্চল্যকর দুই শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার মামরায় তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন।আজ(৪ জুন) বুধবার দুপুরে সিরাজগঞ্জের আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করলে বিজ্ঞ আদালত জামিন না মঞ্জুর করে তাকে জেলহাজতে পাঠিয়েছে। কাজিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ দুপুরে সাংবাদিকদের ডেকে আসামী মিনুর আটক এবং জেলহাজতে যাবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। অধিকতর তদন্তের জন্যে তিনি রিমান্ডেরও আবেদন করবেন বলে জানান। আটক মিনু উপজেলার মেঘাই গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে।তিনি পূর্বে ছাত্রলীগের ইউনিয়ন কমিটির সদস্য ছিলেন। বর্তমানে তিনি নিজেই ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে জড়িত বলে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন।
থানায় দেয়া মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ২৩ মে বিকেলে প্রতিবেশি দুই শিশুকে আম দেয়ার কথা বলে বাড়ীর পার্শ্ববর্তী যমুনার তীরে ভুট্টা খেতে নিয়ে যান আব্দুল মজিদ মিনু। সেখানে নিয়ে দুই শিশুকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করেন। শিশু দুজন এক পর্যায়ে চিৎকার করতে থাকে। ওই ক্ষেতের পাশ দিয়ে যাবার সময়ে শিশুর চিৎকার শুনে ডাক-হাক শুরু করেন আশিক নামের এক যুবক। তিনি ওই শিশু দুটির আত্মীয়।এদিকে কেউ আসছে টের পেয়ে দ্রুত সেখান থেকে পালিয়ে যান মিনু। বিবস্ত্র অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে আসেন আশিক।
এই ঘটনার কয়েকদিন পরে গত ৩০ মে আব্দুল মজিদ ওরফে মিনুকে আসামী করে এক শিশুর ভাই শিপন মিয়া কাজিপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। এই ঘটনার পরে আসামী মিনুকে গ্রেপ্তারের দাবীতে গত কয়েকদিন একটানা স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্ররা মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে।
কাজিপুর থানার ফেসবুক আইডি থেকে এ বিষয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন অফিসার ইনচার্জ নূরে আলম।
সেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন, “ধন্যবাদ জানাই কাজিপুরবাসী ছাত্রসমাজ সহ আপামর জনতার সকলকে। যারা অভিযুক্ত ব্যক্তির গ্রেফতার এবং বিচারের দাবীতে বজ্রকন্ঠে আওয়াজ তুলেছেন। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার জন্য কাজিপুর থানা পুলিশ বদ্ধ পরিকর।”
ইপেপার
Copyright © 2025 ThikanaTV.Press. All rights reserved.