আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় একটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে পাঁচ নৌসেনা নিহত হয়েছেন। মার্কিন সেনাবাহিনী জানিয়েছে, হেলিকপ্টারটি নাভাদা থেকে ক্যালিফোর্নিয়া যাচ্ছিল। এ সময় সান ডিয়াগোর বাইরে প্রত্যন্ত এলাকায় তুষার ঝড়ের কবলে পড়ে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়েছে। এটি ইউএস মেরিন কার্পোস-এর প্রশিক্ষণ হেলিকপ্টার ছিল। শুক্রবার (০৯ ফেব্রুয়ারি’) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইউএস মেরিন ক্রপস জানিয়েছে, সিএইচ-৫৩ই সুপার স্ট্যালিয়ন হেলিকপ্টারটি ক্যালিফোর্নিয়ার মিরামারে মেরিন ক্রপস এয়ার স্টেশন অভিমুখে রওনা হয়েছিল। পরে এটি সান ডিয়াগোর পূর্বে একটি পাহাড়ি এলাকায় বিধ্বস্ত হয়।
এক বিবৃতিতে থার্ড মেরিন এয়ারক্রাফট উইংয়ের কমান্ডার মেজর জেনারেল মাইকেল বোর্গস্কাচল জানান, আমাদের থার্ড মেরিন এয়ারক্রাফট উইং এবং ফ্লাইং টাইগারের প্রশিক্ষণ চলাকালে পাঁচ সেনা নিহত হয়েছেন।
এদিকে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হলেও এখনও সব সেনার মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তাদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।’
হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে সেনা নিহতের ঘটনায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এক বিবৃতি দিয়েছেন। তিনি বলেন, আমি নিহতদের পরিবার, স্কোয়াড্রন এবং মেরিন ক্রপসের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। আমাদের পাঁচজন সেনা হারানোয় আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।
সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকটি মার্কিন বিমান ও হেলিকপ্পার বিধ্বস্ত হয়েছে। সর্বশেষ দক্ষিণ কোরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের একটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছেল।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, যুদ্ধবিমানটি দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউল থেকে ১৮০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত গুনসান বিমানঘাঁটি থেকে উড্ডয়ন করে। একপর্যায়ে জিকডো দ্বীপের কাছে গিয়ে সাগরে বিধ্বস্ত হয়। দুর্ঘটনার আগেই পাইলট জরুরি বহিঃগমনের মাধ্যমে বের হতে সক্ষম হন। পরে দক্ষিণ কোরিয়ার কোস্ট গার্ডের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করেন।
এর আগে গত নভেম্বরে পূর্ব ভূমধ্যসাগরে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে একটি মার্কিন সামরিক বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। প্রশিক্ষণের সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ইউরোপীয় কমান্ড (ইইউকম)
এক বিবৃতিতে ইইউকম জানিয়েছে, প্রশিক্ষণের সময় পূর্ব ভূমধ্যসাগরে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে একটি মার্কিন সামরিক বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। তবে বিমানে থাকা ক্রু সদস্যদের পরিণতি কী হয়েছে তা জানায়নি ইইউকম। তবে কী কারণে এই বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে তা তদন্ত করছে মার্কিন সেনাবাহিনী।’