নিজস্ব প্রতিবেদক: ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হন শেখ হাসিনা। সেইদিনই সামরিক হেলিকপ্টারে করে ভারত পালাতে বাধ্য হন আওয়ামী লীগের সভাপতি। এখন পর্যন্ত তিনি ভারতেই অবস্থান করছেন। এদিকে এরই মধ্যে নোবেলবিজয়ী অর্থনীতিবীদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের দুই মাস হতে চলেছে। রাজনৈতিক দলগুলো সরকারের কাছে বিভিন্ন দাবি জানিয়েছে, যার মধ্যে নির্বাচনের সময়সীমা অন্যতম।
এদিকে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের আগামী নির্বাচনে অংশ নেবেন কি না সে বিষয়ে প্রভাবশালী আমেরিকান সাময়িকী টাইমস ম্যাগাজিনে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন সজীব ওয়াজেদ জয়। তিনি বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’
বৃহস্পতিবার এক সাক্ষাৎকারে জয় বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে তার মা খুবই হতাশ ও বিরক্ত। তার মা মনে করেন তার গত ১৫ বছরের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হতে চলেছে।
কোটা আন্দোলন নিয়ে পারিবারিক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের আলোচনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কোটা আন্দোলন দেখে আমরা সবাই হতবাক। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপেও আমি বলেছি, ৩০ শতাংশ কোটা অনেক বেশি। এটি আমাদের পাঁচ শতাংশে নামিয়ে আনতে হবে।
কোটা আন্দোলনের সময় মায়ের প্রশাসনের দমন-পীড়নে ভুল স্বীকার করেছেন জয়। তবে তিনি বলেন, অর্ধেকের বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটেছে সন্ত্রাসীদের কারনে। এ ক্ষেত্রে তিনি একটি বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার দিকে ইঙ্গিত করেন।
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে হাসিনাপুত্র বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরনো ও বৃহত্তম রাজনৈতিক দলকে কীভাবে নিষিদ্ধ করবেন? আইনত এটা সম্ভব নয়।’