নিজস্ব প্রতিবেদক: পরকীয়া প্রেমিককে নিয়ে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বাসা ভাড়া নেন পোশাক শ্রমিক ববিতা। কিন্তু বাসা ভাড়া নেয়ার দুইদিনের মাথায় পরকীয়া প্রেমিকাকে খুন করে পালিয়ে যান প্রেমিক। রোববার সন্ধ্যায় সাভারের আশুলিয়া থানার ইউনিক এলাকায় দ্বীন মোহাম্মদের মালিকানাধীন টিনশেড বাড়ির একটি কক্ষ থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত ববিতা আক্তার গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ি থানার বাসিন্দা। তিনি স্থানীয় পলমল গ্রুপের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। তার আগের স্বামী ও সন্তান রয়েছে। তবে স্বামী পরিচয়দানকারী প্রেমিকের পরিচয় জানা যায়নি।’
বাড়ির মালিক ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কারখানায় কাজে না যাওয়ায় প্রতিবেশী সহকর্মী এক নারী ববিতার খোঁজ নিতে আসেন। পরে ঘরের সামনে এসে ববিতাকে ডাকাডাকি করেন। কিন্তু দরজা বাইরে থেকে তালাবদ্ধ ছিল। পরে সন্দেহ হলে ঘরের জানালা দেখেন মেঝেতে পড়ে আছে ববিতার নিথর দেহ। এরপর ঘরের তালা ভেঙে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
বাড়ির মালিক দ্বীন মোহাম্মদ বলেন, তারা স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে আমার বাসা ভাড়া নেয়। আগামী মাসের ১ তারিখ তাদের এই বাসায় ওঠার কথা। তবে ঘর ফাঁকা থাকায় তারা আগে গত ২৬ জানুয়ারি বাসায় উঠে। আজকে তাদের পরিচয়পত্র দেওয়ার কথা ছিল। ঘরে ববিতার পরিচয়পত্র ও চেয়ারম্যান সনদের কাগজপত্র পেয়েছি। আর পুরুষের মোবাইল নম্বর আছে। কিন্তু তার নাম জানি না।
আশুলিয়া থানার এসআই আবুল মালেক বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, ববিতাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়াধীন।’
তিনি আরো বলেন, পরকীয়া প্রেমিককে নিয়ে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে নতুন বাসায় ভাড়া উঠেছিল তারা। স্বামী পরিচয় দানকারীর প্রেমিকের অবস্থান শনাক্তের চেষ্টা চলছে।’