ঠিকানা টিভি ডট প্রেস: অবিরাম বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে সিলেট নগরীসহ সুনামগঞ্জ জেলা প্লাবিত হয়েছে। ঈদের দিন আকস্মিকভাবে সৃষ্ট বন্যায় ভোগান্তিতে পড়েছেন সিলেটের মানুষজন।’
ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাটে হাঁটু থেকে কোমর পানি থাকায় অনেকেই ঈদের নামাজ আদায় করতে পারেননি। সেই সঙ্গে কুরবানির পশুকে বন্যার পানি থেকে রক্ষা করতে দিশেহারা হয়ে পড়েন অনেকেই। সোমবার (১৭ জুন) ভোররাতে সিলেটের বেশ কয়েকটি এলাকায় প্লাবন হওয়ার পর অনেকেই ঈদের নামাজ পড়তে ও কুরবানি দিতে পারেননি।
ভারি বর্ষণে সিলেট নগরীর শাহজালাল উপশহর, দরগামহল্লা, পায়রা, সুবিদবাজার, বনকলাপাড়া, চৌহাট্টা, জিন্দাবাজার, কাজলশাহ, মেডিকেল রোড, বাগবাড়ি, কালীবাড়ি, হাওলাদারপাড়া, সোবহানীঘাট, উপশহর, যতরপুর, তেরোরতন, সোনারপাড়া, কেওয়াপাড়া, সাগরদিঘিরপার, পাঠানটুলা, মিয়া ফাজিলচিশত, জালালাবাদ, হাউজিং এস্টেট, শাহী ঈদগাহ, ঘাসিটুলা, হাওয়াপাড়া, মীরাবাজার, শিবগঞ্জ, মাছিমপুর, জামতলা ও তালতলা এলাকায় পানি থই থই করছে। রাস্তাঘাট কোথাও হাঁটু পর্যন্ত, কোথাও কোমর পর্যন্ত ডুবে আছে।
সোমবার নগরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ও বিভিন্ন এলাকার মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করে এমনটা জানা যায়। আজ মঙ্গলবার (১৮ জুন’) পরিস্থিতির তেমন উন্নতি হয়নি। তবে বৃষ্টি কমেছে।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজিব গণমাধ্যমকে জানান, রোববার সকাল ৬টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত সিলেটে ১৭৩ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আরও দুদিন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে।’
এদিকে সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। সুরমা নদীর পানি সুনামগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানিতে তলিয়ে গেছে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের বেশ কয়েকটি এলাকার। এসব এলাকার বাসা বাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে।
এছাড়াও জেলার ছাতক, দোয়ারাবাজার, সুনামগঞ্জ সদর ও তাহিরপুর উপজেলার অন্তত ৩০ গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছেন। জেলার অন্তত শতাধিক অভ্যন্তরীণ সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন বাসিন্দারা।’