সিরাজগঞ্জে ৪৯৯ মণ্ডপে হচ্ছে দুর্গাপূজা রং তুলির আঁচড়ে সাজিয়ে তুলেছেন দেবীকে

সেলিম রেজা সিরাজগঞ্জ: আসন্ন দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে প্রতিমা তৈরিতে রং-তুলরি অপরূপ সৌন্দর্যের আঁচড়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন সিরাজগঞ্জের কারিগররা। সনাতন ধর্মালম্বীদের সব চেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাৎসব। দেবীকে দৃষ্টিনন্দন রূপ দিতে দিন রাত রং তুলির মাধ্যমে হাতের নিখুঁত কারুকার্যের কাজ করে যাচ্ছেন মৃৎ শিল্পরা।

কাদামাটি, খড়,বাঁশ, কাঠ ও সুতলি, দিয়ে দেবী দুর্গার নিপুণ হাতের ছোঁয়ায় তৈরি করছেন প্রতিমা। ইতোমধ্যে সিরাজগঞ্জের প্রতিমা তৈরীর অবকাঠামোর কাজ প্রায় শেষ। এখন দেবী দুর্গার অনিন্দ্য সুন্দর রূপ দিতে দিনরাত রং তুলির কাজ করে যাচ্ছেন কারিগররা। দুর্গা,স্বরসতী,লক্ষী,কার্তিক,গনেশ ও অসুরকে রুপ চর্চায় সাজিয়ে তুলছেন কারিগররা।

তবে দেবী দুর্গাকে নানা রঙ্গে রাঙ্গাতে প্রতিমা তৈরীর উপকরণ এর দাম বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসায় ন্যায্য মুনাফা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে জানালেন প্রতিমা তৈরীর কারিগর শ্রী বলরাম পোদ্দার।
তিনি আরো জানান, দেশের সরকার পরিবর্তন হওয়ায় আমাদের এলাকায় বিশৃংখলার সৃষ্টি হলে আমরা প্রতিমা তৈরি করতে সাহস পাইনি। এতে আমরা অনেক অর্ডার ক্যানসেল করে দিয়েছি। নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও ২০টি প্রতিবার অর্ডার পেয়েছি সেই কাজ বর্তমান চলমান রয়েছে। প্রতিটি প্রতিমা সেট নিম্নে ২০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়। বছরে একবার প্রতিমা তৈরি করে যে লাভ হয় তাই দিয়ে আমাদের সংসার চলে। লাভ লস এর মধ্য দিয়েও বাপ দাদার ব্যবসা ধরে রাখার চেষ্টা করছি। তবে গতবারের চেয়ে এবারে প্রতিমা তৈরীর চাহিদা অনেকটাই কম।

জেলার ৯টি উপজলোর প্রায় ৪৯৯ টি পূজামণ্ডপে শারদীয় দুর্গাৎসব পালন করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলাপূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সন্তোষ কুমার কানু। তিনি বলেন-আগামী ১১ অক্টোবর মহাষ্টমী পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হবে এবং ১৩ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে উৎসব শেষ হবে।

দেশের ক্রান্তিকালে শারদীয় দুর্গোৎসব পালনে রাজনৈতিক, সামাজিক, র‌্যাব, প্রশাসন, সেনাবাহিনী, ছাত্র সমন্বয়ক ‍সাংবাদিকসহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় করা হয়েছে। সকল আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সর্বস্তরের শ্রেণী পেশার ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে শারদীয় দুর্গোৎসব পালনে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন তারা। আমাদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপনে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় সকল ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের সহযোগিতা কামনা করছি। শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপনে হিন্দু, মুসলিম ভাইদের সৌহার্দ্য ভালবাসায় ঐক্যমত গড়ে তুলে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সহযোগিতায় গতবারের চেয়ে এবারে আনন্দঘন পরিবেশে পূজা উদযাপন সম্পন্ন করা হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহমেদ বিপিএম (বার)। পিপিএম (বার) জানান, পুজায় কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানোর জন্য সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি পূজা মন্ডপে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তায় স্থানীয় প্রশাসন, র‌্যাব ও সেনাবাহিনী মোতায়েন থাকবে। এছাড়াও মোবাইল টিম সার্বক্ষণিক পূজা মন্ডপে নজরদারি রাখবে। পাশাপাশি সবকটি পূজা মন্ডপে গোয়েন্দা নজরে থাকবে বলে তিনি জানিয়েছেন।’

Facebook
Twitter
WhatsApp
Pinterest
Telegram

এই খবরও একই রকমের

রাজবাড়ীতে আলীপুর ইউনিয়নে দুই স্বামীর সংসার করছেন জান্নাতুল ফেরদৌস

ঠিকানা টিভি ডট প্রেস: রাজবাড়ীর সদর উপজেলার আলীপুর ইউনিয়নের নুরুল ইসলাম ভূঁইয়ার মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস। প্রথম স্বামীর সঙ্গে সংসার করার সময়ই দ্বিতীয় বিয়ে করেন। দুই

বেলকুচির সেন ভাঙ্গাবড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল ও পুরস্কার বিতরণ 

জহুরুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার: সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার ঐতিহ্যবাহী কান্ত কবি রজনীকান্ত সেনের স্মৃতি বিজরিত সেন ভাঙ্গাবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০২৪ সালের ৬ষ্ঠ শ্রেণী থেকে নবম শ্রেণী

উপজেলা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে প্রার্থিতা প্রত্যাহার ১৩০ জনের

নিজস্ব প্রতিবেদক: তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটে ১৩০ জন প্রার্থী প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এছাড়া এই ধাপে ৬ জন প্রার্থী বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন

যশোরসহ সারাদেশে হাইস্কুলে পা দিয়েই ঝরে পড়েছে পাঁচ লক্ষাধিক শিক্ষার্থী

জেমস আব্দুর রহিম রানা: যশোরসহ সারাদেশে মাধ্যমিক পর্যায়ে উদ্বেগজনকভাবে শিক্ষার্থী ঝরে পড়ছে। দুই বছরে মাধ্যমিক পরীক্ষা দেয়ার আগেই ঝরে পড়েছে পাঁচ লাখ ৩৪ হাজার ৪৩৭

ব্যাংক লেনদেনের সময় জানাল বাংলাদেশ ব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের সব ব্যাংক বুধবার (৩১ জুলাই) থেকে স্বাভাবিক নিয়মে চলবে। মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।’ স্বাভাবিক

যারা একটু আবেগি, প্লিজ এই লেখাটি পড়বেন না । প্রচলিত পন্থায় দান করলে ধনী-গরীবের পার্থক্যটা স্পষ্ট হয় মাত্র, ব্যাবধান কমে না

সাইদ হাফিজ এক সময় চিনের অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। মানুষ দু‘বেলা দু‘মুঠো খেতে পারতো না। অবস্থা এতটাই বেগতিক হয়ে পড়েছিলো যে, ক্ষুধার জ্বালা সহ্য