ঠিকানা টিভি ডট প্রেস:সম্প্রতি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুরস্কের প্রভাব খানিকটা কমে এসেছে।’ ফলে তা পুনরুদ্ধার করতে ইউরোপ থেকে শুরু করে এশিয়া ও আমেরিকা সফরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। আর এজন্য নিজের সফরসূচি ঢেলে সাজাচ্ছেন বলে ধারণা ইউরোপীয় বিশ্লেষকদের। সংবাদমাধ্যম দ্য মিডল ইস্ট আইয়ের এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানানো হয়।
এরদোয়ানের সফর শুরু হবে ইউরোপের দেশ স্পেন ভ্রমণের মাধ্যমে। দেশটি তুরস্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার ও ন্যাটো সদস্য। এছাড়া ভূমধ্যসাগরীয় স্বার্থ ও গাজা যুদ্ধ দুই দেশের সম্পর্ককে আরও ঘনিষ্ঠ করেছে বলে মত বিশ্লেষকদের। স্পেনের পর জি-৭ সামিটে অংশ নিতে ইতালি সফরে যাবেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট। উত্তর আফ্রিকাতে দুই দেশের যৌথ স্বার্থ নিয়ে তিনি ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
ইউরোপের পর জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে কাজাখস্তানে অনুষ্ঠিতব্য সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন সামিটে অংশ নেবেন এরদোয়ান। থিঙ্ক ট্যাংক আটলান্টিক কাউন্সিলের বিশ্লেষক ওমর ওজকিজিলসিক জানান, আঙ্কারার নীতি নির্ধারকরা তুরস্কের স্বার্থান্বেষী চোখে গোটা বিশ্বকে দেখছেন। তারা তুরস্কের কূটনীতিকে চারদিকে ছড়িয়ে দিতে চান এবং এশিয়ার উদীয়মান কোনো শক্তির সঙ্গেই অংশীদারত্বের সুযোগ হাতছাড়া করতে চান না।
সাংহাই সামিটের পর আজারবাইজানে অর্গানাইজেশন অব টার্কিক স্টেটসের সম্মেলনে যোগ দেবেন এরদোয়ান। তুর্কি কর্মকর্তারা কাজাখস্তান এবং আজারবাইজানের মতো তুর্কি রাজ্যগুলির মাধ্যমে চীন থেকে ইউরোপে পণ্য পরিবহনের জন্য মধ্য করিডোর বাণিজ্য স্থাপনের দিকে মনোযোগ দিচ্ছেন।’
তার্কিক দেশগুলোর সম্মেলন শেষে জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহে ন্যাটোর একটি সম্মেলনে যোগ দিতে ওয়াশিংটনের উদ্দেশে যাত্রা করবেন প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান। এ সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নিতে পারেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট। ওজকিজিলসিক জানান, ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর ন্যাটোতে তুরস্কের গুরুত্ব আগের তুলনায় বেড়েছে, কারণ যুক্তরাষ্ট্রের পর জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে লন্ডন সফরের মাধ্যমে নিজের কূটনৈতিক সফর শেষ করবেন এরদোয়ান। বলা হচ্ছে এরদোয়ানের টানা এসব সফর বিশ্ব রাজনীতিতে তুরস্কের প্রভাব বিস্তারের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের সূচনা করবে।’