সাম্প্রদায়িক হামলা শতাধিক, তালিকায় আসেনি অনেক

নিজস্ব প্রতিবেদক: শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগের পদধারী হিন্দু নেতাকর্মী ছাড়াও শতাধিক সংখ্যালঘু পরিবার আক্রমণের শিকার হয়েছে। রাজধানী, চট্টগ্রাম মহানগর ও বিভাগীয় শহরগুলোয় সাম্প্রদায়িক হামলা খুব একটা না হলেও গ্রামীণ এলাকায় বিশেষ করে যশোর, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে নির্যাতন-নিপীড়ন হয়েছে। অধিকাংশ ঘটনায় মামলা হয়নি। পুলিশ সদরদপ্তরের বরাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং গত মঙ্গলবার জানিয়েছে, দেশে গত ৫ আগস্ট থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত সংখ্যালঘুদের লক্ষ্য করে ৮৮টি মামলায় ৭০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলা ও গ্রেপ্তারের সংখ্যা আরও বাড়বে।

হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের পরিসংখ্যানে ২০১০টি সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করা হয়েছে। অনুসন্ধানে ২৯৬টি অভিযোগের মধ্যে ১৩৫টির সত্যতা মিলেছে। তবে তালিকায় নাম আসেনি এমন অনেক হিন্দু পরিবার নির্যাতিত হয়েছে। হামলাকারীদের অধিকাংশ বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতিতে যুক্ত বলে পরিচিত। আবার ৫ আগস্ট বিজয় মিছিল থেকেও হামলা হয়।

ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলায় ৪২টি সাম্প্রদায়িক সহিংসতার অভিযোগ এসেছে ঐক্য পরিষদের পরিসংখ্যানে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, ৫ আগস্ট ফুলপুর, তারাকান্দা উপজেলায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর বাড়িতে ঢালাও হামলা ও ভাঙচুর হয়। আওয়ামী লীগের সঙ্গে দূরতম সম্পর্ক নেই-এমন হিন্দু পরিবারও আক্রান্ত হয়।

বগুড়া, ৫ আগস্ট থেকে পরবর্তী দিনগুলোয় জেলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর ২৯টি হামলা হয়েছে। গাবতলী উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নে ১৭টি হামলা হয়েছে। মধ্যপালপাড়া এলাকায় ৮টি বাড়িঘরে হামলা হয়েছে। সেখানে পলাশ দাসের মুদি দোকানের মালপত্র লুট এবং ভাঙচুর করা হয়। ভজন কর্মকারের বাড়িঘর ভাঙচুর ও মন্দিরে প্রতিমা ভাঙা হয়। ৫ ভরি স্বর্ণালংকার লুট ও মারধর করা হয়। প্রশান্ত চন্দ্র দাসের চারটি গরু লুট করা হয়। অনীন্দ্র চন্দ্রের বাড়িঘর ভাঙচুর ও ১০ হাজার টাকার মালপত্র লুট হয়। স্থানীয় স্কুলশিক্ষক সাজেদুর রহমান সাজু বলেন, ৫ আগস্ট সন্ধ্যায় পালপাড়া এলাকায় ৮টি বাড়িতে হামলা হয়েছিল।

সোনারায় ইউনিয়নের জামিরবাড়িয়া এলাকায় ব্রত চৌধুরীর বাড়ি, তপন চন্দ্রের মিষ্টির দোকান ও গোপাল চন্দ্রের হোমিও দোকানে হামলা হয়। আর কর্মকারপাড়ায় ছয়টি বাড়িতে হামলা হয়।

সোনারায় ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রাজা মণ্ডল বলেন, আমার ইউনিয়নে ১০-১২টি ঘটনার কথা জানি।’

বগুড়া সদরের পীরগাছা বধুয়াতলা এলাকায় কীর্তনিয়া পুষ্পরানীর বাড়িঘরে হামলা এবং তাঁর ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা। উজ্জ্বল দাসের বাড়ির মন্দিরও ভাঙচুর করা হয়। কিন্তু ঐক্য পরিষদের তালিকায় তাঁর নাম নেই।

চাঁদপুর, ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর জেলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের পাঁচ পরিবারের বাড়িতে হামলা ও লুটপাট হয়। সরেজমিনে গিয়ে এসব বাড়িতে এখনও ক্ষতচিহ্ন, ধ্বংসাবশেষ দেখা গেছে। সদরের গুপ্তি গ্রামের প্রয়াত প্রাক্তন স্কুলশিক্ষক জ্ঞান রঞ্জন দাসের বাড়ি নামে পরিচিত ওই বাড়িটিতে অধ্যক্ষ হরিপদ দাস ছাড়াও তাঁর ভাই সমিত রঞ্জন দাস, সুমন কান্তি দাস, সঞ্জিত রঞ্জন দাসসহ অন্যরা পাঁচটি একতলা পাকা বাড়িতে পৃথকভাবে থাকেন।

সুমিতা দত্ত জানান, ৫ আগস্ট সন্ধ্যায় ১৭-১৮ জনের একটি দল ঢুকে লুটপাট চালায়। আলমিরার তালা ভেঙে স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। টিভি, ফ্রিজ, আসবাব নিয়ে যায়। দুটি মোটরসাইকেলে আগুন দেয়।

পরিস্থিতি ভয়াবহ ছিল যশোরের গ্রামে গ্রামে

অনুসন্ধানে বাঘারপাড়ায় ১৮ এবং অভয়নগরে ২৬ হিন্দু পরিবারের ওপর হামলার তথ্য পাওয়া গেছে। তবে প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি। আক্রান্তদের কেউ রাজনীতিতে যুক্ত নন। ধর্মীয় পরিচয়ের কারণেই তারা হামলার শিকার হন।

বাঘারপাড়া উপজেলার সুলতাননগর ঋষিপল্লিতে হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি ও মন্দিরে এখনও ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। অসচ্ছল হিন্দুরা ভাঙাচোরা বাড়িতে দিন কাটাচ্ছেন।

স্থানীয়রা জানান, শেখ হাসিনার পতনের পর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে হিন্দুপল্লিটিতে হামলা করে ৪০ থেকে ৫০ জনের দল। তাদের প্রত্যেকের হাতে ছিল রামদা, হাঁসুয়া, লোহার রড, শাবল ও লাঠি। প্রথমে তারা হামলা করে শশধর বিশ্বাসের বাড়িতে। হামলা ও ভাঙচুরের শিকার হয় ঋষিপল্লির মন্দির-প্রতিমাও। এরপর পল্লির বিকাশ চন্দ্র বিশ্বাসের বাড়িতে হামলা চালিয়ে দুটি ঘর ভাঙচুরের পাশাপাশি হাঁস, মুরগি এমনকি বাড়ির বাজার পর্যন্ত নিয়ে গেছে হামলাকারীরা। রাজকুমার ও অপূর্বের বাড়ি ভেঙে তছনছ করে দিয়েছে।’

পল্লিটিতে কাছাকাছি অবস্থানে মোট চারটি মন্দির ও একটি মণ্ডপ। হরিচাঁদ মন্দিরের দুটি প্রতিমার একটির মাথা ভাঙা। পাশের বাসন্তী মন্দিরে ১১টি প্রতিমার মধ্যে সাতটির কোনোটির হাত, কোনোটির মুখ, আবার কোনোটির মাথা ভাঙা। মনিরামপুর থানার ওসি নূর মোহাম্মদ গাজী জানান, হামলার ঘটনায় মামলা হয়নি।

যশোরের কেশবপুরেও ২৭টি পরিবার ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার তথ্য এলেও, বাস্তবে এই সংখ্যা অনেক বেশি। তবে কিছু ঘটনায় রাজনৈতিক বিরোধ ও পূর্বশত্রুতা রয়েছে। হিন্দু অধ্যুষিত পাজিয়া ইউনিয়নে বেশ কিছু পরিবারে ও দোকানে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট হলেও তালিকায় সব নাম আসেনি বলে জানান স্থানীয়রা।’

জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু জানান, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার অভিযোগ সঠিক নয়। বরং বিএনপি দিনরাত পাহারা দিয়েছে। এখনও তা চলছে। এরপরও দু’এক জায়গায় নির্যাতিত-বিক্ষুব্ধরা বিগত সরকারের দোসরদের ওপর ক্ষোভ দেখিয়েছে। যারা এতে জড়িত ছিল তাদের বহিষ্কার করেছে বিএনপি।

সাতক্ষীরার কলারোয়া ও শ্যামনগর উপজেলায় বহু হিন্দু আক্রান্ত হয়েছেন। কলোরোয়ার তুলসীডাঙ্গা গ্রামের উত্তম কুমার ঘোষ বলেন, ‘আমার দোকানে যারা হামলা করেছে, তাদের চিনি। তবে নাম বলা যাবে না। তাদের কোনো দল নেই।’

শ্যামনগরের পোড়াকাটলা গ্রামের ডালিম ঘরামীর বাড়িতে ৫ আগস্ট হামলা হয় জামায়াত নেতা হাজী নজরুল ইসলামের ছেলে আব্দুর রহমান ও জামায়াত কর্মী নুরুজ্জামান ডাক্তারের নেতৃত্বে। হামলায় জড়িত ছিল বনদস্যুরাও।’

Facebook
Twitter
WhatsApp
Pinterest
Telegram

এই খবরও একই রকমের

‘অবশেষে মুক্ত হলো বাংলাদেশি সেই ২৩ নাবিক’

নিজস্ব প্রতিবেদক: অবশেষে টানা ৩১ দিন পর সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্ত হলেন বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ ‘এমভি আব্দুল্লাহর’ ২৩ নাবিক। শনিবার (১৩ এপ্রিল’) বাংলাদেশ সময়

পেশার স্বার্থে সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ থাকা উচিত : নওগাঁয় বিএমএসএফ নেতৃবৃন্দ 

নিজস্ব প্রতিবেদক: নওগাঁ, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০২৫: আর কোন প্রয়োজনে নয়, পেশার স্বার্থে সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ থাকা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের ট্রাস্টি

সলঙ্গায় অসামাজিক কার্যকলাপে হাতেনাতে আটক জুতার মালা পরিয়ে ফেসবুকে প্রচার 

সেলিম রেজা সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: পরকিয়া প্রেমের টানে অসামাজিক কার্যকলাপের সময় হাতেনাতে ২জনকে আটক করে বেধরক মারপিট ও জুতার মালা পরিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ফেসবুকে প্রচারের

গ্রেপ্তারের ভয় ছাড়ছে না বিএনপি নেতাদের’ নিজস্ব প্রতিবেদক দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর বিএনপির আত্মগোপনে থাকা নেতাকর্মীরা কর্মসূচিতে প্রকাশ্যে অংশ নিতে শুরু করেছেন। তিন মাস আত্মগোপনে থাকা বিএনপির নেতাকর্মীরা যখন ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসছেন, তখনো নতুনভাবে গ্রেপ্তারের ভয়ে আছেন তারা। বিএনপির অভিযোগ, গ্রেপ্তারের পাশাপাশি আবারও নতুনভাবে ঢাকা মহানগরসহ বিভিন্ন এলাকায় দলীয় নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। বিভিন্ন এলাকায় পুরোনো মামলায় নতুনভাবে আসামি দেখিয়ে আটকের ঘটনা ঘটছে। এমন অবস্থায় তৃণমূলের নেতাকর্মীরা ভয়ভীতির মধ্যেই দিন কাটাচ্ছেন। গ্রেপ্তার আতঙ্কে অনেকেই ঘরবাড়ি কিংবা এলাকা ছাড়া। জানা গেছে, গত মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি’) দ্বাদশ সংসদ অধিবেশনের প্রথম দিন প্রতিবাদ হিসেবে কালো পতাকা মিছিল কর্মসূচি দিয়েছিল বিএনপি। তারও আগে ২৬ ও ২৭ জানুয়ারি মহানগর ও জেলা পর্যায়ে একই কর্মসূচি পালন করেছে দলটি। কিন্তু পুলিশ মঙ্গলবার রাজধানীতে কোথাও কালো পতাকা মিছিল করতে দেয়নি বলে বিএনপির অভিযোগ। বরং ওইদিন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নতুনভাবে শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নতুনভাবে দায়েরকৃত ছয়টি মামলায় ৪৫৬ জনের বেশি নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। ৭০ জনের বেশি নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। ওইদিন রাজধানীর উত্তরায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খানের সঙ্গে অশালীন আচরণ করে এবং ধাক্কা দিয়ে জিপে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। যদিও তাকে পরবর্তী সময়ে পুলিশ ছেড়ে দেয়। সে সময় মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদসহ সংগঠনের ৪ নেত্রীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। একই দিনে বাগেরহাটের রামপালে বিএনপির কালো পতাকা মিছিল থেকে দলটির কেন্দ্রীয় সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনিও কিছুদিন আগেই মুক্তি পেয়েছিলেন।’ বিএনপির অভিযোগ, গত বছরের ২৮ অক্টোবরের পর বিরোধীদের মাঠে দাঁড়াতে দিচ্ছে না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। নেতাকর্মীদের যাকে যেখানে পেয়েছে, গ্রেপ্তার করেছে। এখনো বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনসহ বিরোধী নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে তল্লাশির নামে হামলা চালানো হচ্ছে। সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আকবর হোসেন এবং তার পুত্র সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন রনির বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পুলিশ পরিচয়ে অভিযান চালানো হয়েছে। ওই পরিবারের অভিযোগ, এ সময় বাড়ির লোকজনদের সঙ্গে অশালীন আচরণ ও ‘লুটপাট’ করা হয়। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘বন্দুকের নলে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের পর সরকারের তথাকথিত মন্ত্রি-এমপিরা এখন আরও বেসামাল কথাবার্তা বলছেন। অবৈধ সরকার বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশকে লেলিয়ে দিয়েছে। সম্প্রতি বিএনপির পূর্বঘোষিত শান্তিপূর্ণ কালো পতাকা মিছিলে হামলা-নির্যাতন চালিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপি ও বিরোধী নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে পুলিশ পরিচয়ে তল্লাশির নামে হামলা-ভাঙচুর করা হচ্ছে।’ বিএনপির নীতিনির্ধারকরা জানান, বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের আত্মগোপনে থাকা নেতাকর্মীরা ধীরে ধীরে মাঠের রাজনীতিতে ফিরে আসার চেষ্টা করছেন। অনেকেই কারাগার থেকে ছাড়াও পেয়েছেন। হামলা-মামলা উপেক্ষা করে কৌশলে কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছেন। ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশের তিন মাস পর গত ২৬ ও ২৭ জানুয়ারি রাজধানী ঢাকা ও জেলায় জেলায় কালো পতাকা মিছিলে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায় অনেককে। তাদের এ উপস্থিতি তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মধ্যে আশা জাগিয়েছে। আবারও রাজপথে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে সরকারবিরোধী দলগুলো। কিন্তু গত ৩০ জানুয়ারি সারা দেশে কালো পতাকা মিছিল কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় অনেকের মধ্যে আবারও কিছুটা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এ কারণে পরবর্তী কর্মসূচি প্রণয়নে বিএনপি কিছুটা সময় নেবে। বিএনপির দপ্তর সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যনুযায়ী ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশের ৪-৫ দিন আগে থেকে অদ্যাবধি মোট গ্রেফতার হন ২৫ হাজার ৬৪৪ জনের বেশি নেতাকর্মী। বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান ভূঁইয়া মিল্টন গণমাধ্যমকে বলেন, একতরফা ডামি নির্বাচন করেও স্বস্তিতে নেই অবৈধ সরকার। তাদের সবসময় পতনের আতঙ্ক তাড়া করছে। এজন্যই বিএনপির শীর্ষ নেতাদের জামিন না দিয়ে দমন-পীড়ন অব্যাহত রেখেছে।’

নিজস্ব প্রতিবেদক: দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর বিএনপির আত্মগোপনে থাকা নেতাকর্মীরা কর্মসূচিতে প্রকাশ্যে অংশ নিতে শুরু করেছেন। তিন মাস আত্মগোপনে থাকা বিএনপির নেতাকর্মীরা যখন ধীরে ধীরে

হাজি সেলিম গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য হাজি মো. সেলিমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) দিবাগত মধ্যরাতে পুরান ঢাকার বংশাল এলাকা থেকে তাকে

সিরাজগঞ্জে জেলা শিশুশ্রম পরিবীক্ষণ কমিটির ১৪তম সভা

নজরুল ইসলাম: সিরাজগঞ্জে জেলা শিশুশ্রম পরিবীক্ষণ কমিটির ১৪তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৩ অক্টোবর) সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন এবং কলকারখানা ও