
মাহমুদুর রহমান দিলাওয়ার
সম্প্রতি বাংলাদেশের একজন সুপরিচিত আলেমেদ্বীন ও ইসলামী চিন্তাবিদ মুফতি কাজী ইব্রাহীমকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ।
সোমবার রাত ২টার দিকে রাজধানীর লালমাটিয়ার জাকির হোসেন রোডের বাসা থেকে তাকে আটক করে ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম ইউনিটের একটি দল।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। শুনানি শেষে বুধবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান মো. নোমান এ আদেশ দেন।আসামি পক্ষের আইনজীবী আব্দুর রাজ্জাক শুনানিতে বলেন, ‘মুফতি ইব্রাহীম একজন হাদিস বিশারদ। তিনি কোনো রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত নন।
তিনি কুরআন ও হাদিসের আলোকে বক্তব্য দেন। হয়রানিমূলকভাবে তার বিরুদ্ধে এই মামলা করা হয়েছে। তাকে দুই দিন ডিবি হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে। তাই রিমান্ডের কোনো যৌক্তিকতা নেই।’ এ সময় কাজী ইব্রাহীম আদালতকে বলেন, ‘তৎকালীন মিসর সরকার হজরত ইউসুফ (আ:)কে শাসক হিসেবে নিজেই দায়িত্ব দেন। আমার থিম ও স্বপ্ন হলো বাংলাদেশের সরকারও একসময় এমন কোনো একজন আলেম বা যোগ্য লোককে এই দেশের দায়িত্ব দেবেন। শাসক ও আলেম মিলে দেশকে সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যাবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘সরকার বা শাসক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য দেইনি; বরং তাদের পক্ষেই কথা বলেছি।’ (নয়াদিগন্ত)আদালতে বয়োবৃদ্ধ এই মুহাদ্দিসকে হাতকড়া পরানো অবস্থায় হাজির করা হয়। যে দৃশ্যটি ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় বইছে। নানাবিধ মন্তব্য চোখে পড়েছে। মুফতি সাহেবের ছাত্র, উপাধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ ফয়জুল্লাহ বাহার তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন: ক্বাজী ইব্রাহীম একজন নির্বিবাদী জ্ঞানসাধক ও গবেষক। হাদীস শাস্ত্রে তার অসাধারণ দক্ষতা রয়েছে। কুরআনের উপর রয়েছে তার গভীর পান্ডিত্য। তিনি নিজেই শুধু শায়খুল হাদীস নন।
বরং তার পরিবারে হাদীসের অধ্যাপনার ক্ষেত্রে রয়েছে কয়েক জেনারেশনের সিলসিলা বা ধারাবাহিকতা। আপনি তার সাথে সকল বিষয়ে হয়তো একমত হবেন না, বা একমত হওয়ার প্রয়োজনও নেই। কিন্তু জীবন ঘনিষ্ঠ বিভিন্ন বিষয়ের ইসলামী সমাধান অন্বেষণ ও তাতে তার মতামত প্রদানের তার যে প্রবণতা তা এককথায় অসাধারণ। আমরা কোন বিষয় বা মাসআলায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বা সাহাবায়ে কেরামের আমল জানতে চাইলে তার দ্বারস্থ হতাম। তিনি তাৎক্ষণিক বলে দিতেন: এটা বুখারীর এত নং হাদীস, মুসলিমের এত নং হাদীস, নাসায়ীর অমুক চ্যাপ্টার ইত্যাদি, ইত্যাদি। উস্তাদ কামাল উদ্দিন জাফরী হাফিজাহুল্লাহ কেও তাকে খুব নির্ভরযোগ্য মনে করতে দেখেছি। তিনি আরও লিখেছেন: করোনা নিয়ে তার মন্তব্য, জনৈক যুবকের স্বপ্ন, সূরা ইউসুফ ও বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে তার অবজারভেশন, ফার্মের মোরগ খাওয়া নিয়ে তার অবস্থান ইত্যাদি বিষয় তার একান্ত ব্যক্তিগত। এ বিষয়গুলোর এ ভাবে উপস্থাপন ঠিক বা বেঠিক–তা নিয়ে আমার কোন কথা নেই।
আমার এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য নেই। তাকে হাতকড়া পরানো অবস্থায় দেখে খুব কষ্ট লাগলো।হাতকড়ার ব্যবহার নিয়ে আইন আছে পুলিশ প্রবিধান বা পিআরবিতে। ঐ বিধির ৩৩০ ধারায় বলা হয়েছে, ‘…বিচারাধীন বন্দীকে তাহাদের পলায়ন বন্ধ করিবার জন্য যাহা প্রয়োজন তাহার চাইতে বেশি কড়াকড়ি করা উচিত নহে। হাতকড়া বা দড়ির ব্যবহার প্রায় ক্ষেত্রেই অপ্রয়োজনীয় এবং অমর্যাদাকর। বয়স বা দুর্বলতার কারণে যাহাদের নিরাপত্তা রক্ষা করা সহজ ও নিরাপদ তাহাদের ক্ষেত্রেও কড়াকড়ি করা উচিত হইবে না।’সাবেক মন্ত্রীপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদারের একটি কলাম ২০২০ সালের মে মাসে জাতীয় একটি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। সব আসামিকে হাতকড়া পরানো আবশ্যক নয় শিরোনামে তিনি লিখেছেন: বাংলাদেশের ফৌজদারি কার্যবিধি সন্দেহভাজন কোনো ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের ক্ষমতা পুলিশকে দিয়েছে।
আদালতের পরোয়ানা বলেও কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়। সব ক্ষেত্রেই গ্রেপ্তার মানে হলো সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ওপর গ্রেপ্তারকারী কর্তৃপক্ষের শারীরিক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা। সে জন্য তাকে হাতকড়া পরানোর প্রয়োজন হতে পারে। তবে অপরাধীর ধরনের ওপর নির্ভর করে পুলিশ বা আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেয়। আসামির সামাজিক অবস্থান এখানে গুরুত্বপূর্ণ। গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিকে আদালতে হাজির করতে হয় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে। তাঁকে আদালতে নেওয়া, আদালতের নির্দিষ্ট জেলহাজতে পাঠানো কিংবা পুলিশি হেফাজতে (রিমান্ড) আনা-নেওয়া করতে হয়। কীভাবে তা করতে হবে, তা পুলিশ প্রবিধানে উল্লেখ রয়েছে। উল্লেখ আছে, দুর্ধর্ষ প্রকৃতির আসামিদের আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে হাতকড়া (হ্যান্ডকাফ) পরাতে হবে। হাতকড়া কখনো দুজন আসামির দুই হাতে এক সেট পরানো হয়। কখনো একজনেরই দুই হাতে এক সেট। ক্ষেত্রবিশেষে হাত দুটো পেছন দিকে নিয়ে হাতকড়া পরানো হয়। আবার অনেককে গাড়িতে চড়িয়ে খোলা হাত–পায়ে করা হয় আনা-নেওয়া। ব্যাপারটি অনেকটা পুলিশের ইচ্ছার বিষয়। তবে ইচ্ছাটার যৌক্তিক ভিত্তি থাকা উচিত। অনেক ক্ষেত্রে সেটা দেখা যায় না। সেটা হয় পীড়াদায়ক। কেননা, কাউকে হাতকড়া পরালে তিনি নিগৃহীত বিবেচ্য হন। তাই এখানে বিবেচনাবোধকে গুরুত্ব দেওয়া সংগত। তুচ্ছ ও অনির্ভরযোগ্য অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি, যিনি গ্রেপ্তার এড়াতে শক্তি প্রয়োগ করবেন না, যাঁর সামাজিক মর্যাদা রয়েছে—এমন ব্যক্তিদেরও কখনো কখনো হাতকড়া পরাতে দেখা যায়।হাতকড়া পরানোর ক্ষেত্রে আইনের অপব্যবহার না করার নির্দেশ শিরোনামে ৪ জুলাই ২০১৮ সালে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।
প্রকাশিত সংবাদটি ছিলো এরকম: আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের হাতকড়া পরানোর ক্ষেত্রে আইনের অপব্যবহার করা যাবে না মর্মে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে, এ বিষয়ে (হাতকড়া পড়ানো) সংশ্লিষ্টদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। এ সংক্রান্ত রুলের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (৩ জুলাই) হাইকোর্টের বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। আদালতে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন আইনজীবী আবু ওবায়দুর রহমান। তিনি বলেন, হাতকড়া পরানোর ক্ষেত্রে পিআরবির বিধান মেনে চলা উচিত। এই বিধানের বাইরে গিয়ে কাউকে হাতকড়া পরালে তা হবে মানবাধিকারের লঙ্ঘন। এক্ষেত্রে আইনের অপব্যবহার করা যাবে না মর্মে হাইকোর্ট এই রায় ঘোষণা করেন। রায়ে হাতকড়া পরানোর ক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্র সচিব ও পুলিশের আইজির প্রতি সতর্কতামূলক নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। ২০১৭ সালের ২৬ মে ভোরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সিঅ্যান্ডবি এলাকায় বাসের ধাক্কায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আল বেরুনি হলের মার্কেটিং বিভাগের ৪৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী নাজমুল হাসান রানা ও মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের আরাফাত নিহত হন।
এ ঘটনায় অভিযুক্তদের শনাক্ত করে দ্রুত বিচারের দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসানসহ প্রায় ৪২ জনকে আটক করে পুলিশ। নাজমুল অসুস্থ থাকায় আশুলিয়া থানা পুলিশের হেফাজতে তাকে হাতকড়া পরানো অবস্থায় সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় হাসপাতালের বিছানার সঙ্গে হাতকড়া পড়িয়ে আটকে রাখা হয়। এমনকি খাবার সময় নাজমুল তার হাতকড়া খুলে রাখার অনুরোধ জানালেও পুলিশ সে অনুরোধ শুনেনি। এ সংক্রান্ত খবর পত্রিকায় প্রকাশ পায়। সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন এস এম রেজাউল করিম। ২০১৭ সালের ২৯ মে হাইকোর্টের বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেন। স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি, ঢাকার পুলিশ সুপার ও আশুলিয়া থানার ওসিকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়। মঙ্গলবার রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে হাইকোর্ট উক্ত রায় দেন।বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় দা’য়ী ইলাল্লাহ মাওলানা মিজানুর রহমান আযহারীর ফেসবুক স্টাটাস: সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে আলেম ওলামা এবং দ্বা’য়ীদের সাথে যা ঘটছে তা অত্যন্ত দু:খজনক। দুদিন যেতে না যেতেই নতুন নতুন গু/মের খবর। একের পর এক ঘটনাগুলোর পুনরাবৃত্তি— সত্যিই ভাবিয়ে তুলছে সবাইকে। দ্বা’য়ীরা যদি এভাবে সব সময় হয়রানির শিকার হোন, গু/মাতঙ্কে থাকেন এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভুগেন, তাহলে তাঁরা দাওয়াতি কাজ করবেন কিভাবে? কুরআন সুন্নাহর আলোকে জাতিকে গাইড করা কি অপরাধ? দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কথা বলা কি অপরাধ? বাসায় কুরআন, হাদিস এবং ইসলামি সাহিত্য রাখা কি অপরাধ? কিন্তু এগুলো সবই যেন আজ অপরাধ বলে বিবেচিত হচ্ছে। এ কোন পথে হাটছে বাংলাদেশ?? দেশপ্রেমিকরাই যেন আজ দেশে অবাঞ্ছিত।তিনি লিখেছেন: মুফতি কাজী ইব্রাহীম (হাফি.) এই দেশের একজন শীর্ষস্থানীয় প্রবীণ আলেম এবং দ্বা’য়ী। আজ ভিডিও বার্তায় তাঁর যে অসহায়ত্ব ফুটে উঠেছে— তা ব্যথিত করেছে গোটা দেশের সকল ইসলামপ্রিয় জনতাকে। এমন নির্বিবাদী উম্মাহ দরদী আলেমের সাথে এরকম আচরণের তীব্র নিন্দা জানাই। অনতিবিলম্বে এই বিদগ্ধ আলেমে দ্বীনকে সসম্মানে তাঁর পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হোক। আলেমদের উপর বিশেষ নজরদারি, অযথা হয়রানি এবং গু/মের নোংড়া সংস্কৃতি বন্ধ হোক। এভাবে দেশের শান্তি, শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধ হোক তা আমরা চাইনা। আল্লাহ তা’আলা তাঁর দ্বীনের সকল দ্বা’য়ীদের নিরাপত্তার চাদরে আবৃত রাখুন।মুফতি কাজী ইব্রাহীম সাহেব একজন প্রখ্যাত মুহাদ্দিস। পাশাপাশি মনে রাখতে হবে তিনি একজন মানুষ। মানুষ হিসেবে তিনি কিংবা আমরা কেউই ভুলের উর্ধ্বে নই। তিনি একজন গবেষক আলেমেদ্বীন। তার গবেষণায় ভুলত্রুটি থাকতে পারে। এতে সন্দেহ নেই। তার উপস্থাপিত কিছু বক্তব্য, বেশ সমালোচিত হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ায় ব্যাপাক নেতিবাচক মন্তব্য তাকে হজম করতে হয়েছে এবং হচ্ছে। আমরা দ্বীনি ভাই হিসেবে সংশোধন ও সংস্কার চাই। আর সবার কাছে এ প্রত্যাশাও ব্যক্ত করতে চাই যে, মুফতি সাহেবের ইতিবাচক অনেক গুণ আছে। টেলিভিশন ও সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর দেয়া অনেক আলোচনা ও প্রশ্নোত্তর থেকে গোটা জাতি উপকৃত হয়েছেন এবং হচ্ছেন।
আশাকরি তা কেউ অস্বীকার করবেন না।আল্লাহ তা’য়ালা বলেন: নিশ্চয়ই মু’মীনরা পরস্পর ভাই ভাই। কাজেই তোমরা তোমাদের ভাইদের মধ্যে আপোষ মীমাংসা করে দাও। আর আল্লাহর তাক্বওয়া অবলম্বন করো, যাতে তোমরা অনুগ্রহপ্রাপ্ত হও। [৪৯. সূরা আল-হুজরাত: ১০]। আয়াতে কারীমায় মু’মীন মুসলিমদের মাঝে ভ্রাতৃত্ববোধের চর্চা কেমন হওয়া উচিৎ, সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা:) থেকে অসংখ্য অগণিত বর্ণনা পাওয়া যায়। যা আমাদেরকে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ থাকতে উদ্বুদ্ধ করে। যেমন: একজন মুসলিম অপর মুসলিমের ভাই। সে তার উপর অত্যাচার করতে পারে না। আবার তাকে ধ্বংসের মুখেও ঠেলে দিতে পারে না। [বুখারী: ২৪৪২; মুসলিম: ২৫৮০]। আল্লাহ বান্দাহ’র সহযোগিতায় থাকেন, যতক্ষণ বান্দাহ তার ভাইয়ের সহযোগিতায় থাকে। [মুসলিম: ২৬৯৯]। এক মুসলিম অন্য মুসলিমের ভাই। সে তার উপর যুলুম করে না, তাকে সহযোগিতা করা পরিত্যাগ করে না এবং তাকে অপদস্ত ও হেয় করে না। কোনো ব্যক্তির জন্য তার কোনো মুসলিম ভাইকে হেয় ও ক্ষুদ্র জ্ঞান করার মতো অপকর্ম আর নেই। [মুসনাদে আহমদ: ১৬/২৯৭, ৭৭৫৬]।
[লেখক: সহকারী মহাসচিব, বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাসসিরীন।]













