
নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশ্ববাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জ্বালানি তেলের নতুন মূল্য নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়, প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনের বিদ্যমান বিক্রয়মূল্য ১০৯ টাকা থেকে ৭৫ পয়সা কমিয়ে ১০৮.২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি লিটার অকটেনের বিদ্যমান বিক্রয়মূল্য ১৩০ টাকা থেকে ৪ টাকা কমিয়ে ১২৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর প্রতি লিটার পেট্রোলের বিদ্যমান বিক্রয়মূল্য ১২৫ টাকা থেকে ৩ টাকা কমিয়ে ১২২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ’) জারি করা প্রজ্ঞাপনে জ্বালানি তেলের নতুন দাম জানানো হয়। শুক্রবার (৮ মার্চ) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।
গত ২৯ ফেব্রুয়ারি জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণের সূত্র নির্ধারণ করে নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে জ্বালানি বিভাগ। এতে বলা হয়, দেশে ব্যবহৃত অকটেন ও পেট্রল ব্যক্তিগত যানবাহনে বেশি ব্যবহৃত হয়। তাই বাস্তবতার নিরিখে বিলাস দ্রব্য (লাক্সারি আইটেম) হিসেবে সব সময় ডিজেলের চেয়ে অকটেন ও পেট্রলের দাম বেশি রাখা হয়।
অকটেন ও পেট্রল বিক্রি করে সব সময়ই মুনাফা করে সরকারি প্রতিষ্ঠান বিপিসি। মূলত ডিজেলের ওপর বিপিসির লাভ-লোকসান নির্ভর করে। দেশে ব্যবহৃত জ্বালানি তেলের ৭৫ শতাংশই ডিজেল। দীর্ঘ সময় ধরে ডিজেল বিক্রি করেও মুনাফা করছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে বর্তমানে ডিজেল থেকে তেমন মুনাফা হচ্ছে না। খাতের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আরও আগেই দাম কমানোর সুযোগ ছিল।’
জ্বালানি তেলের মধ্যে উড়োজাহাজে ব্যবহৃত জেট ফুয়েল ও বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত ফার্নেস অয়েলের দাম নিয়মিত সমন্বয় করে বিপিসি। আর ডিজেল, কেরোসিন, পেট্রল ও অকটেনের দাম নির্ধারণ করে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ। ভর্তুকির চাপ এড়াতে ২০২২ সালের আগস্টে গড়ে ৪২ শতাংশ বাড়ানো হয় জ্বালানি তেলের দাম। এরপর ব্যাপক সমালোচনার মুখে ২৩ দিনের মাথায় ওই মাসের শেষ দিকে প্রতি লিটারে ৫ টাকা করে কমানো হয় দাম।’