নিজস্ব প্রতিবেদক: সংরক্ষিত নারী আসনে কারা সংসদ সদস্য হতে যাচ্ছেন তা নিয়ে নানামুখী আলাপ আলোচনা হচ্ছে। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বৃহস্পতিবার গণভবনে সংরক্ষিত নারী আসনে যারা মনোনয়ন প্রত্যাশী তাদেরকে ডেকেছিলেন। তাদের কাছে তিনি সুনির্দিষ্টভাবে কারা সংরক্ষিত আসনে নির্বাচিত হবার যোগ্য সে সম্পর্কে একটা ধারণা দিয়েছিলেন। নিঃসন্দেহে সংসদে সংরক্ষিত আসনের নির্বাচনের জন্য নারী রাজনীতিবিদরা প্রাধান্য পাবেন। তবে শুধু নারী রাজনীতিবিদরা নয়, এ ছাড়াও সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে আলোচিত এবং গুরুত্বপূর্ণ নারী ব্যক্তিত্বদেরকেও সংসদে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে’। এক্ষেত্রে শিল্প, সাহিত্য জগতের তারকা ব্যক্তিত্বরা ছাড়াও বেশ কিছু চমক থাকবে বলে জানা গেছে। বেশ কিছু নাম নিয়ে চর্চা হচ্ছে। তাদের সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। তাদের রাজনৈতিক চিন্তাভাবনা এবং সমাজে তাদের অবদানের বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারক মহল খোঁজখবর নিচ্ছেন। এ রকম বেশ কিছু চমক এবার নারী সংসদ সদস্য মনোনয়নের ক্ষেত্রে থাকতে পারে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
এক্ষেত্রে কয়েকটি নাম নিয়ে আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারক মহলে আলোচনা শোনা যাচ্ছে এবং এদের ব্যাপারে বিভিন্ন সংস্থা খোঁজখবর নিচ্ছে। এরা প্রত্যেকেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে কিন্তু সরাসরি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নন। তবে স্ব স্ব ক্ষেত্রে তারা আলোচিত প্রশংসিত। এরকম আলোচনা যারা আছে তাদের মধ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ফারজানা ইসলামের নাম আলোচনায় আছে। তার সম্পর্কে বিভিন্ন মহল খোঁজখবর নিচ্ছে।
তরুণ বিজ্ঞানী ড. সমীর কুমার সাহার কন্যা সেঁজুতি সাহার নাম নিয়েও বিভিন্ন ধরনের খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। চমক হিসেবে তিনি নারী সংসদ সদস্য হলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি বিশিষ্ট সাংবাদিক ফরিদা ইয়াসমিনের নাম নিয়েও আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারক মহলে আলোচনা হচ্ছে। বিশিষ্ট শিল্প পরিবার নিটল গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুল মাতলুব আহমাদ এর সহধর্মিণী যিনি নিজেও নিটল গ্রুপের একজন পরিচালক সেলিমা আহমাদকে নিয়েও বিভিন্ন মহলে আলোচনা হচ্ছে।
এছাড়া প্রয়াত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হকের স্ত্রী বিশিষ্ট শিল্পপতি রুবানা হকের নাম নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। কর্পোরেট জগতের আলোচিত নারী ব্যক্তিত্ব রুবাবা দৌলা মতিনকে নিয়েও বিভিন্ন মহলে আলোচনা হচ্ছে এবং এদের সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, রাজনীতিবিদ, শিল্প সংস্কৃতির ক্ষেত্রে সেলিব্রিটির বাইরেও আওয়ামী লীগ এবার নারী সংসদ মনোনয়নের ক্ষেত্রে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে যারা অবদান রেখেছেন এবং অপেক্ষাকৃত তরুণ তাদেরকে প্রাধান্য দিতে চায়। স্ব স্ব ক্ষেত্রে কাজ করে যারা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন এবং অন্য নারীদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস্য হিসেবে পরিচিত হয়েছেন এরকম ব্যক্তিদেরকে সংসদে এনে আওয়ামী লীগ একটা চমক সৃষ্টি করতে চায়। তবে আওয়ামী লীগের শীর্ষ স্থানীয় নেতারা বলছেন, শেষ পর্যন্ত কারা নারী সংসদ সদস্য হবেন এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইতোমধ্যে এই কাজ তিনি প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছেন। তবে সবচেয়ে বড় যে বিষয়টি দেখা হবে তা হলো তাদের আর্দশিক অবস্থান। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালনকারী বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখা নারী ব্যক্তিত্বদেরকেই এবার সংসদে প্রাধান্য দেয়া হতে পারে।’