এক্সিডেন্টের খবর শুনে এসেছিলো পরের দিনেই।সেই সাতক্ষীরার দেবহাটা থেকে বাইক ড্রাইভ করে।মনে হয়েছিলো মালয়েশিয়া পেনাং শহর থেকে সুঙ্গাই পাতানী এসেছে আমাকে দেখতে।
মালয়েশিয়া থাকতে দুজন দু প্রদেশে থাকলেও আসা
যাওয়া দেখা সাক্ষাৎ হতো নিয়মিত।
দেশের যাতায়াত ও যোগাযোগ ব্যাবস্থার অবস্থা দেখে
সেভাবে কেও শখের বশেও বের হতে চাইনা।
অন্যদের কথা কি বলবো আমার দূরের যাত্রা খুব অস্বস্তিকর লাগে। যদিও বাস্তবতা সাথে নিয়ে চলতে হয়।
মালয়েশিয়াতে সময়ে অসময়ে পাশে থাকা মানুষটি
আরিফ বিন আনোয়ার
।কত স্মৃতি মনে পড়ে৷
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নিয়েছিলাম ঠিকানার।
অনেক বড় বাজেট আর কত শত কাজ।
সবই সামাল দিয়েছিলেন নিজের মনে করেই।
ত্রিমুখী ষড়যন্ত্রে পেনাং প্রদেশের কনসার্ট বন্ধ হলে
আমার চেয়ে অনেক বেশি কষ্ট পেয়েছিলেন লোকটি।
কান্নাও করেছিলেন খুব।
পরবর্তীতে কুয়ালালামপুর কনসার্ট বাস্তবায়ন হওয়াই
পরিতৃপ্ত হয়েছিলাম আমরা সবাই।
লাংকাভি প্রদেশে ঘুরতে যাওয়া সহ
অনেকের বাসায় দাওয়াত খাওয়ার নানান স্মৃতি চোঁখে ভাসে। জানিনা সেই দিন আর ফিরে পাবো কিনা!
জানিনা সেই দেশে আবার ফিরে যাওয়া হবে কিনা!
সকালের সূর্যদয় আর রাতের নিরবতা প্রতিদিন আমাদের এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে অজানা ভবিষ্যতের দিকে। কাঙ্ক্ষিত বা অনাকাঙ্ক্ষিত যায় হোক মেনে নিতেই হচ্ছে নিয়তির সব আয়োজন। অতীত হয়ে যাচ্ছে প্রতিটি মুহুর্ত, প্রতিটা মুহুর্তে।
একদিন এভাবেই পৌঁছে যাবো জীবনের শেষ দিনে।
যেদিন নিষ্প্রাণ হবো আমি।
নিথর হবে দেহ।
থেমে যাবে আমার সকল কর্ম।
আর ক্ষনিকের আয়োজনে চেনাজানা মানুষের আলোচনায় থাকবো আমি।
হয়তো কান্নার রোল পড়বে প্রিয়জনদের মাঝে।
এমনও কেও হয়তো আছে যে নিজের অজান্তে আমার মৃত্যুর খবরে চোঁখের লোনা জল মুছবে কপল থেকে।
যাকে দেখিনি কোনোদিন।
চিনিনা জানিনা।
আবার কেও হতে পারে মহাখুশি।
এইইই তো জীবন। এইইই তো জিন্দেগী ।
আল্লাহ ভাল রাখুন সবাইকে আর আমাদের কবুল করুন তার জান্নাতের জন্যে।
আমীন ইয়া রব্বাল আলামীন।
___________কবির বিন সামাদ।
2 Responses
শুভকামনা
শুভকামনা