সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালামাল লুটপাটে বাঁধা দেওয়ায় সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার গাড়াদহ ইউনিয়নের তালগাছি গ্রামে বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টার দিকে প্রকাশ্য দিবালোকে ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী আবু হানিফকে (৫০) একই গ্রামের মাদকাশক্ত সন্ত্রাসী বোরহান উদ্দিন(৩০) ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে। নিহত আবু হানিফ ওই গ্রামের মৃত রোজগার আলির ছেলে। হত্যাকারী সন্ত্রাসী বোরহান উদ্দিনও একই গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদের ছেলে। টাকার বিনিময়ে এ হত্যাকান্ডটি ধাপাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে এলাকাবাসি অভিযোগ করেছে।
এলাকাবাসী ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার রাত ১১টার দিকে তালগাছি বাসস্ট্যান্ডের উত্তর পাশের শ্যালোক ছানোয়ার হোসেনের ভাঙ্গারি দোকানে ড্রামট্রাক লাগিয়ে ঘাতক বোরহান উদ্দিন ও তার সহযোগিরা ভাঙ্গারি মালামাল লুটের চেষ্টা করে। এ সময় ব্যবসায়ী আবু হানিফ তা দেখে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় তা প্রতিহত করে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে এ দিন বেলা ১১টার দিকে তালগাছি বাজারের শফিউল আলম একাডেমি কেজি স্কুলের সামনে প্রকাশ্য দিবালোকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। তাকে আশংকাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে নিহত আবু হানিয়ের লোকজন ঘাতক বোরহান উদ্দিনের পরিবারের দুইটি দোকান ভাংচুর করে।
এ বিষয়ে ঘাতক বোরহান উদ্দিনের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ জানান, এদিন সকালে আমি একটি কাজে শাহজাদপুরে যাই। যাওয়ার সময় বোরহান আমার কাছে থেকে বাজার করার ১ হাজার ৩০০ টাকা জোর করে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। তিনি আরও জানান, ব্যবসায়ী আবু হানিফ আমার অত্মীয় হয়। তালগাছি বাজারের শফিউল আলম একাডেমি কেজি স্কুলের পাশের আমার বড় ছেলে সালাউদ্দিনের মুদি দোকানে আবু হানিফ বসে ছিল। এ সময় অকষ্মাৎ বোরহান উদ্দিন ছুটে এসে তাকে কুপিয়ে আহত করে। এরপর গুরুতর আহত আবু হানিফকে বগুড়া বগুড়া শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে নিহত আবু হানিয়ের লোকজন ঘাতক বোরহান উদ্দিনের পরিবারের দুইটি দোকান ভাংচুর করে। তিনি বলেন, আমার ছেলে এলাকার বখাটেদেও সাথে মিসে মাদকাশক্ত হয়ে পড়েছে। অনেক চেষ্টার পর ৬ মাস ভাল থাকার পর আবারও নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। নেশার টাকা জোগারে নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে। আমার ছেলে অপরাধী করেছে, তাই আমি সেনাবাহিনীকে ফোন দিয়ে বলেছি তাকে ধরে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে।
এ বিষয়ে জানতে শাহজাদপুর থানার ওসি সবুজ রানার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। #