জেমস আব্দুর রহিম রানা: যশোরের ঝিকরগাছায় ছুরিকাঘাতে খুন হওয়া তৌফিক হাসানের খুনিকে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। ঘাতকের নাম কিসমত বাবু ওরফে ক্যাসেট বাবু (২৫)। সে আফিল রোডের কাশেম মোড়লের ছেলে। ঘটনার পর থেকে ক্যাসেট বাবু ও তাঁর স্ত্রী রিয়া খাতুন (২০) পলাতক পলাতক থাকায় খুনিকে পুলিশ এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি।
ছেন। আজ শনিবার (২০ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে যশোরের ঝিকরগাছা কাটাখাল এলাকার আফিল রোডের ক্যাসেট বাবুর বাড়িতে ছুরিকাঘাতে খুন হয় তৌফিক হাসান (২২) নামে আফিল এগ্রো ফার্মের এক কর্মী। সে উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামের কারিগরপাড়ার শাহাদৎ হোসেনের ছেলে। হত্যাকান্ডের পর থেকে ঘাতক কিসমত বাবু ওরফে ক্যাসেট বাবু (২৫) আফিল রোডের কাশেম মোড়লের ছেলে। ঘটনার পর থেকে ক্যাসেট বাবু ও তাঁর স্ত্রী রিয়া খাতুন (২০) পলাতক রয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে ক্যাসেট বাবুর স্ত্রী রিয়া খাতুনের সঙ্গে তৌফিকের পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। গতকাল শুক্রবার রাতে রান্নাঘরে স্ত্রীর সঙ্গে কৌশিককে দেখে ফেলেন বাবু। এ ঘটনার জের ধরে শনিবার সকালে মোবাইল ফোনে তৌফিককে বাড়িতে ডেকে নিয়ে আসেন ক্যাসেট বাবু। পরে সেখানে তাঁকে ছুরিকাঘাত করেন। একপর্যায়ে তাঁকে ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎকরা তাঁকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানে নেওয়ার পর মৃত্যু হয় তৌফিকের।
নিহতের খালা রত্না খাতুন বলেন, ‘প্রতিদিনের ন্যায় আফিল ফার্মে কাজে যাচ্ছিল তৌফিক। বাবুর ফোনকল পেয়ে আফিল রোডে তাঁদের বাড়িতে যায় তৌফিক।’
তৌফিকের চাচাতো ভাই মো. শাহিন বলেন, ‘ক্যাসেট বাবু ও কৌশিকের মধ্যে বন্ধুত্ব সম্পর্ক ছিল। দুজন-দুজনের বাড়িতে যাতায়াত ছিল।’
ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন ভুঁইয়া বলেন, পরকীয়ার জের ধরে এক বন্ধুর ছুরিকাঘাতে আরেক বন্ধু নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান চলছে।