নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলক’ থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। জানা যায়, ভাস্কর্যটি ১৫-২০ কেজি তামা দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল।
এর আগে, গত ৫ আগস্ট সরকার পদত্যাগের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল জায়গায় শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা। এদিনই স্মৃতিফলকের বাম পাশে নিচের দিকে বসানো বঙ্গবন্ধুর রিলিফ ভাস্কর্য ভেঙে নিয়ে যায় তারা। এই স্মৃতিফলকের সামনের অংশে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ তিন শিক্ষক ড. সুখরঞ্জন সমাদ্দার, ড. হবিবুর রহমান ও মীর আব্দুল কাইয়ূমের ভাস্কর্য রয়েছে। যার মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে ৫২’র ভাষা আন্দোলন থেকে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ পর্যন্ত নানা সংগ্রামের চিত্র।’
২০১৬ সালের ১৪ ডিসেম্বর এই স্মৃতিফলকের উদ্বোধন করেন তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক মিজান উদ্দিন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা ও কর্মচারী জানান, সরকার পতনের পর সবাই উপাচার্য বাসভবনের গেট ভেঙে ভিতরে যায়। তখন সবারই নজর ছিল উপাচার্য বাসভবনের দিকে৷ সেই সময়ই ক্যাম্পাসের বাহিরের কিছু লোক তামার তৈরি শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভেঙে তা নিয়ে পালিয়ে যায়।
উল্লেখ্য, ১৪ আগস্ট রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ‘বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল’ ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। এর আগে নগরীর সিঅ্যান্ডবি, রাজশাহী শিক্ষাবোর্ড, রাজশাহী কলেজ, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ, লক্ষ্মীপুর মোড়সহ বিভিন্ন স্থানে নির্মিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। তবে ম্যুরাল ভাংচুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে জানান সমন্বয়করা।’