আন্তর্জাতিক ডেস্ক: হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আবদোল্লাহিয়ান। তাদের শোকে পাথর হয়ে গেছে ইরানিরা। দুর্ঘটনার খবর শোনার সঙ্গে সঙ্গে কান্নার রোল পড়ে যায় ইরানের বাড়িতে বাড়িতে, গলি-মহল্লায়। শোক জানাতে রাতেই পথে বসে যান হাজার হাজার মানুষ। মসজিদে মসজিদে চলে রাতভর প্রার্থনা।
তার বেঁচে ফেরার আশায় নারী-পুরুষ নির্বিশেষ মসজিদে প্রার্থনায় বসে যান গোটা দেশবাসী। কেউ কেউ তসবি পাঠ এবং কোরআন তেলাওয়াত করেন সারা রাত। ইরানিরা বলছেন, তাদের আবেগ আর অনুভূতির আরেক নাম প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি।
এর আগে ইরানের প্রেসিডেন্টের জন্য দেশবাসীকে দোয়া করতে বলেন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। তারপরই যে যেখানে পেরেছেন প্রার্থনায় বসে যান। কিন্তু বিশেষ অভিযানের পর জানানো হয়, দুর্ঘটনা কবলিত এলাকায় কোনো প্রাণের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। পুড়ে ছাই হয়ে গেছে হেলিকপ্টার। তবে মরদেহ পাওয়া গেছে কিনা তা নিয়ে এখনো কিছু জানানো হয়নি।’
দুর্ঘটনার ঠিক কিছুটা আগ মুহূর্তের একটি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা যায়-হেঁটে স্বাভাবিক ভাবেই হেলিকপ্টারে উঠেছেন। ভেতরে বসে দেখেছেন কোন এলাকায় দুর্যোগে কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এর অল্প কিছুক্ষণ পরই খবর ছড়ায় তাকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়েছে।
স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট রাইসি আজারবাইজানের সীমান্তের কাছে কিজ কালাসি এবং খোদাফারিন বাঁধ দুটি উদ্বোধন করেন। সেখান থেকে ফিরে তিনি ইরানের উত্তর-পশ্চিমে তাবরিজ শহরের দিকে যাচ্ছিলেন। এরপরই দুর্ঘটনার খবর আসে।’