রবের মহা পুরস্কার
ছোট্ট বেলায় শিক্ষকেরা জিজ্ঞাসা করতো বড় হয়ে কি হতে চাই?
আমার বাবা ছিলেন একজন আদর্শ শিক্ষক। আমি বাবার মতোই হতে চাইতাম অর্থাৎ শিক্ষক। স্বপ্নও ছিলো তাই। ২০০২ সালে আব্বাকে হারিয়ে হারিয়েছিলাম স্বপ্ন পুরনের রাস্তাও। লবন আনতে পান্তা ফুরানোর সংসারে একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তির অনুপস্থিতিতে শুধু অসহায় বললে ভুল হবে চরম অসহায় হয়ে পড়েছিলাম আমরা।
কলেজের পরীক্ষার টাকা দিতে একবার হোটেলে থালা বাসন মাজতেও গিয়েছিলাম। মায়ের কষ্টমাখা মুখ দেখতে আর ভাল লাগছিলো না। আর তাই ২০০৬ সালের শুরুর দিকে ঢাকায় গার্মেন্টসে গিয়েছিলাম। কাজ করেছি দিন রাত। তবে অভাবের টানাপোড়েন কাটিয়ে উঠতে আরো ভাল কিছু করার দরকার ভেবে প্রবাস জীবন বেছে নিয়েছিলাম।
২০০৬ এর শেষ দিকে প্রবাসে গমন করি । দিন ভালোই যাচ্ছিলো। হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে পড়লাম। লান্স ইনফেকশন হয়েছিলো। ডাক্তার হসপিটাল – হসপিটাল ডাক্তার করতে করতেই কাটছিলো দিন গুলো। ২০০৯ এ এরেস্ট হয়ে জেলে যেতে হয়েছিলো একটা প্রোগ্রাম কে কেন্দ্র করে। ২০১০ এ সোজা বাড়ি চলে এসেছিলাম। ২০১১ তে আবার মালয়েশিয়া গমন করলাম ২য় বারের মতো। ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে কাজ এবং তার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক সাংগঠনিক প্রোগাম গুলোতে স্বশরীরে উপস্থিত থাকা ও শিক্ষা নেওয়া দেওয়ার মধ্যেই জীবন কাটছিলো।
সালটা মনে নেই, যথাসম্ভব ২০১৩ হতে পারে। একটা প্রোগ্রামে আমাদের শ্রোতা ছিলো ৩ জন আমরা গিয়েছিলাম ২ জন।
মোট ৫ জনের উপস্থিতিতেই মাহফিল। মাহফিল শেষে ৩ জন শ্রোতার মধ্যে একজন কন্ঠের প্রসংশা করে পরামর্শ দিলো ফেসবুকে ভিডিও দেওয়ার জন্য। সেই থেকে শুরু হলো অনলাইনে গান নাটক আলোচনা পোস্টের। বাড়তে লাগলো শ্রোতা দর্শক। সেই থেকে আজ পর্যন্ত পথচলার গতি ঠিক রাখার চেষ্টাটা করেই গেছি।
ঠিকানা টিভি ডট প্রেস নামটির বয়স এখনো ১ বছর হয়নি। কিন্তু দর্শক জনপ্রিয়তা পেয়েছে অনেকটাই। আলহামদুলিল্লাহ অনেকেই প্রশংসা করে থাকে চ্যানেলটির। দল মত গোত্র বর্ণ নির্বিশেষে চ্যানেলটি অনেকেরই আস্থা ভালবাসা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। আর এটার মাধ্যমেই মূলত পরিচয় হয়েছে নানান ধরনের ব্যক্তিবর্গের সাথে।
হ্যা দু’সপ্তাহ পরে আবারো জানতে চাইলেন হ্যা নাকি না আকিজ কলিজিয়েট স্কুল। যেখানের ছাত্র হতে পারাটাই অনেক গর্বের আর আমি সেখানে পাচ্ছি শিক্ষকতার সুযোগ যা আকাশ কুশুম কল্পনাকেও হার মানায়। অন্ধ চাঁদ দেখতে পাওয়ার মতো আনন্দের এই সুযোগ। যদিও অসম্ভব কোনো আকাঙ্ক্ষা। তারপরও এই সুযোগ হ্যা বলেই কৃতজ্ঞ থাকতে চেয়েছি প্রিয় মানুষদের প্রতি।
আলহামদুলিল্লাহ। এটাই রবের পুরস্কার। এটাই অগাধ বিশ্বাসের ফসল। এটাই আল্লাহর ভালবাসা এবং তার হতভাগ্য বান্দার প্রতি তার রহমের বারিধারা। এটাই স্রষ্টার এক মহান চমক। তিনিই পারেন ধনীকে ফকির আর ফকির কে ধনী বানাতে। তিনিই পারেন অভাবীর অভাব দূর করতে। তিনিই পারেন দুখীর দুঃখ মোচন করতে। আর আমার জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনা গুলোই তার বাস্তব প্রমাণ।
শেষ কথা- আমি কিছুটা আমড়া কাঠের ঢেঁকির মতো। আর তাই মা মাঝে মাঝে বকা দিয়ে বলতো কি করে খাবি??? আমি মনে মনে এটাই বলতাম – আল্লাহ আছেন। এটা আমার ছিলো অকাট্য বিশ্বাস। তিনি দেখবেন। তিনিই দেখাবেন চলার পথ। বিজয়ের রাস্তা। মা অনেক খুশি তার ছেলে আজ মাস্টার হতে যাচ্ছে। কিন্তু কষ্ট টা বুকে চাপা রয়েই গেলো, বাবার গলা জড়িয়ে বলা হলোনা – আব্বা তোমার ছেলে আজ অনেক বড় হয়েছে। ঠিক তুমি যেমনটি চেয়েছিলে তেমনটিই…
কবির বিন সামাদ।
মাশাআল্লাহ
I am from kagmari 1 gonganandapur. We are proud of you. Where are you from ?
মাশাআল্লাহ
জাযাকাল্লাহ
প্রিয় ভাই
আলহামদুলিল্লাহ খুব ভালো একটা খবর শুনলাম আপনার সাথে দেখা করার খুব ইচ্ছা আছে আল্লাহ চাইলে খুব দ্রুত দেখা পাবো ইনশাআল্লাহ…
আলহামদুলিল্লাহ খুব ভালো একটা খবর শুনলাম আপনার সাথে দেখা করার খুব ইচ্ছা আছে আল্লাহ চাইলে খুব দ্রুত দেখা পাবো ইনশাআল্লাহ…
আলহামদুলিল্লাহ খুব ভালো একটা খবর শুনলাম আপনার সাথে দেখা করার খুব ইচ্ছা আছে আল্লাহ চাইলে খুব দ্রুত দেখা পাবো ইনশাআল্লাহ…
মাশাআল্লাহ
আলহামদুলিল্লা। তবে এবার যশোর গেলে আপনার কাছ থেকে মিষ্টি না খেয়ে আসবো না।
আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহতায়ালা তার প্রিয় বান্দাদের সঠিকসময়ে সঠিক পুরস্কার দিয়ে থাকেন। ভাই এটা তেমনি একটা পুরস্কার আপনার জন্য,,,,,,।
আলহামদুলিল্লাহ
Mashallah
আলহামদুলিল্লাহ মহান রবের পুরস্কার এভাবেই পাওয়া যায়। আমরা শুধু ধৈর্য ধরতে অক্ষম হয়ে থাকি। আপনার জীবন কাহিনী থেকে অনেক শিক্ষা নিয়ার আছে। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের সকলকে বুঝে এবং নিজের জীবনে প্রয়োগ করে চলার তৌফিক দান করুক। প্রিয় কবির বিন সামাদ ভাই আপনাকে জানাই অনেক অনেক শুভেচ্ছা এবং নতুন জীবনের জন্য রইল নিরন্তর ভালোবাসা।।।।
Link : senikartu