নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোর যুবলীগের কর্মী আলী হোসেনকে (৩০) গুলি করে হত্যার ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সোহান হোসেন শেখ (২৪) গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘কিছু বুঝে ওঠার আগেই একটি মোটরসাইকেলে করে দুজন আমাদের মোটরসাইকেলের পেছনে এসে অতর্কিত গুলি ছোড়ে। প্রথম গুলির শব্দে আমরা মোটরসাইকেল থেকে পড়ে যাই। এরপর এক মিনিটের মধ্যে আলী হোসেনের পা, পিঠ ও মাথায় পাঁচটি গুলি করে সন্ত্রাসীরা চলে যায়। হাসপাতালে নেওয়ার পথেই আলী হোসেন মারা যান।’
সোহান ট্রাকচালক, একই সঙ্গে আলী হোসেনের মাটির ব্যবসা দেখভাল করতেন। গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে শহর থেকে বাড়িতে ফেরার পথে সদর উপজেলার বাহাদুরপুর এলাকার তেঁতুলতলা মোড়ে আলী হোসেনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই রাতে একটি মোটরসাইকেলে করে আলী হোসেন, সোহান ও নয়ন নামের আরেকজন একসঙ্গে বাড়িতে ফিরছিলেন।
নিহত আলী হোসেন সদর উপজেলার বাহাদুরপুর পশ্চিম পাড়া এলাকার আবদুর রহমান ও আঞ্জুয়ারা বেগম দম্পতির ছেলে। তিনি সদ্য সমাপ্ত সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী তৌহিদ চাকলাদারের অনুসারী হিসেবে যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। তৌহিদ চাকলাদার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও যশোর-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদারের চাচাতো ভাই।
শুক্রবার (৭ জুন) ময়নাতদন্ত শেষে বাদ জুমা আলী হোসেনের মরদেহ স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, আলী হোসেনের বিরুদ্ধে চাঁচড়ার আলোচিত ইমরোজ হত্যা, মাদক, মারামারি ও দ্রুত বিচার আইনে চারটি মামলা রয়েছে।
আজ শনিবার (৮ জুন’) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আলী হোসেনের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে বৃদ্ধ মা-বাবা যেন শোকে পাথর হয়ে গেছেন। ৯ মাস আগে বিয়ে করা স্ত্রী আর দুই বোন বাড়ির উঠানে বসে আছেন। কেউ কারও সঙ্গে কোনো কথা বলছেন না।
এ ঘটনার প্রায় দুই দিন অতিবাহিত হলেও আজ বিকেল পর্যন্ত মামলা হয়নি। কাউকে আটকও করতে পারেনি পুলিশ। কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক বলেন, আলী হোসেনের রেকর্ড ভালো না। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যাসহ চারটি মামলা রয়েছে। তাঁকে হত্যার ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো মামলা দেয়নি। কাউকে আটক করা যায়নি।’