জেমস আব্দুর রহিম রানা: যশোরে দুই বছরের শিশু আয়েশাকে হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার সৎ মায়ের মোবাইলে ছিল মেয়েটির নির্যাতনের ছবি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এ বিষয়টি জানিয়েছেন। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) ওই সৎ মাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
এর আগে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, যশোরে দুই বছরের শিশু আয়েশাকে হত্যার অভিযোগে সৎ মা পারভীন সুলতানাকে গ্রেফতার করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। কোতোয়ালি থানার এসআই জয়ন্ত সরকার এ ঘটনায় সোমবার কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছেন।
সোমবার বিকেলে শহরের খড়কি ধোপাপাড়ার ভাড়াবাড়ি থেকে পারভীনকে গ্রেফতার করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আব্দুর রাজ্জাক। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
পুলিশ জানায়, আট থেকে ১০ বছর আগে ওয়াসকুরুনি পিন্টুর সঙ্গে নিহত আয়েশার মা জান্নাতুলের বিয়ে হয়। তাদের দুইটি সন্তান থাকাবস্থায় পিন্টুর সঙ্গে মোবাইল ফোনে পরিচয় হয় আসামি পারভীনের।
২০১৮ সালে পারভীনকে পিন্টু বিয়ে করেন। তারা খোলাডাঙ্গা এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতে থাকেন। আগের স্ত্রী জান্নাতুল গত পাঁচ মাস আগে তাদের দুই সন্তানকে (আয়েশা ও তার বড়ভাইকে) বাবা পিন্টুর কাছে রেখে যান। এরপর থেকে পারভীন সৎ সন্তানদের ওপর অত্যাচার শুরু করেন। গত ১৩ জানুয়ারি সকালে বাড়ি থেকে পিন্টু বের হলে আয়েশার বড় ভাইকে খেলার কথা বলে বাড়ি থেকে বের করে দেন সৎ মা। এরপর শিশু আয়শাকে বেঁধে ঝাঁটা দিয়ে মারপিট করেন। ছোট্ট মেয়েটির চুল ধরে পাশের একটি দেয়ালের সঙ্গে ঘষা দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থান ক্ষত-বিক্ষত করে ফেলেন। একপর্যায়ে আয়েশা অজ্ঞান হয়ে যায়। পরে তড়িঘড়ি করে তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান পারভীন। হাসপাতালে গেলে ডাক্তার আয়েশাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আব্দুর রাজ্জাক জানান, প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে যে আয়েশা কিছুটা মানসিক প্রতিবন্ধী ছিল। এরপরও পরিকল্পিতভাবেই শিশুটিকে হত্যা করেছে তার সৎ মা। পরবর্তীতে পারভীনের মোবাইল ফোনেই নির্যাতনের ছবি পাওয়া যায়।’