যশোরের ৭ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দুই কোটি টাকার বাণিজ্য

জেমস আব্দুর রহিম রানা: নিয়োগে অস্বচ্ছতা ও অসঙ্গতির অভিযোগের কারণে যশোরের ৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখন জোর আলোচনায়। ৩টি দাখিল মাদ্রাসা, ৩ টি জুনিয়ার নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগের নামে প্রায় দুই কোটি টাকার বাণিজ্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অবৈধ পন্থায় ৩ কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে হতিয়ে নেয়া হয়েছে ৪০ লাখ টাকা।

ওই মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করলে অভিযোগকারীকে প্রধান শিক্ষক হত্যার হুমকি দেন। যার কিছুদিন পর ওই অভিযোগকারীর মুত্যু হয়। আর ২০২২ সালের জুলাই মাসে সরকার এমপিও ঘোষণা দেয়ার পর ৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩০ জনকে ব্যাকডেটে অবৈধভাবে গোপন নিয়োগ দিয়ে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে দেড় কোটি টাকা।

তবে স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাব ও শিক্ষা অফিসের হস্তক্ষেপে তাদের বেতন ছাড় হয়নি। পথে পথে ঘুরছেন তাদের অনেকেই। সংশ্লিষ্ট ৩ টি মাদ্রাসা সুপার ও ৩টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সভাপতির বিরুদ্ধে খোঁজ খবর নিচ্ছে শিক্ষা বিভাগ।

এদিকে নানা অভিযোগ ও গোপন নিয়োগের অভিযোগের বিষয়ে অস্বীকার করেছেন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধানগন।

তথ্য মিলেছে, এনটিসিআরসিএকে পাশ কাটাতে অপকৌশলে ব্যাকডেটে (২০১৫ সালের আগে) বিনা নিবন্ধনে যশোরের সাড়াপোল দাখিল মাদ্রাসার সুপার সিরাজুল ইসলাম ৫ জনকে অবৈধ নিয়োগ দেন। এদের মধ্যে ইনজামুল হক পিয়াং, সফুরা খাতুন, আব্দুল্লাহ, বুরহান উদ্দীন ও আয়া সেলিনা খাতুন। এদের কাছ থেকে মাথাপ্রতি কমপক্ষে ৮ লাখ করে অর্থ বাণিজ্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ। যশোর সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসারের তদন্তে ধরা পড়েছে এই ঘাপলা। বেতন ছাড় হয়নি এদের। অধিকাংশই এখন ধরাশায়ী। টাকা দিয়ে এখন পথে পথে ঘুরছেন তারা।

নারাঙ্গালী দাখিল মাদ্রাসা সুপার শরিফুল ইসলামও একইভাবে ৫ জনকে অবৈধভাবে নিয়োগ দিয়েছেন বলে অভিযোগ। টাকা দিয়ে ধরাশায়ী হয়েছেন এমন লোকের তালিকায় রয়েছেন আব্দুস সালাম, সবুজ আহম্মেদ, সাইফুল ইসলামসহ ৫ জন। এছাড়া বাজেদুর্গাপুর দাখিল মাদ্রাসা, শ্রীকণ্ঠনগর বিএমএস নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বলাডাঙ্গা কাজীপুর বিএম নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও রুপদিয়া নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে একইভাবে মোটা অংকের টাকায় নিয়োগ প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। প্রায় ১০ লাখ টাকা লগ্নি করে বাবু নামের একজন ধরাশায়ী হয়েছেন রুপদিয়া নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। এই বাবু সিরাজ সিংহা গার্লস স্কুলে কর্মরত আছেন।

সুত্র জানিয়েছে, এই ৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সুপার ও প্রধান শিক্ষক এবং কয়েকটি ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি সম্পৃক্ত থেকে অবৈধ শিক্ষক নিয়োগের বাণিজ্য করেছেন। যশোরের আলোচিত এক জালজালিয়াতির সম্রাটকে ম্যানেজ করে জালিয়াতির নীলনকসা করা হয়। এসব প্রতিষ্ঠানে হাজিরা খাতা ২টি থাকে। জালিয়াতিতে যোগ দেয়া ওই শিক্ষকদের পাঠদানে ও ক্লাস রুটিনে নাম নেই। এমনকি এসব প্রতিষ্ঠানে ওই শিক্ষকরা নিয়মিত ক্লাসও করেননি। তবে নতুন নিয়োগ দেয়াদের ব্যাক ডেট থেকে সাক্ষর করিয়ে নেয়া হয়েছে। জোড়াতালি করতে গিয়ে সব ঘাপলা ফাঁস হয়ে পড়েছে শিক্ষা বিভাগের কাছে।

আবার মোটা অংকের টাকায় সরকারি হিসেবে শিশু তালিকায় থাকা একজন বাজেদুর্গাপুর মাদ্রাসায় সুপার হয়ে হৈচৈ ফেলে দিয়েছেন। এনামুল কবীর নামে একজন ২০০৪ সালে বাজেদুর্গাপুর মাদ্রাসার সুপার পদে নিয়োগ পান। ২০০৪ সালে এনামুল কবীরকে যখন বাজেদুর্গাপুর মাদ্রাসায় সুপার পদে নিয়োগ দেয়া হয় তখন তিনি শিশু। ওইসময় এনামুল কবীরকে কামিল পাস দেখানো হলেও প্রকৃতপক্ষে তিনি দাখিল পাস করেন। আর একজন শিক্ষার্থী দাখিল পাস সাধারণত ১৬ বছর বয়সে করে থাকে। আইন অনুযায়ী, ১৮ বছরের আগ পর্যন্ত সবাই শিশু। ওইসময় এনামুল কবীর ১০ লাখ টাকা ঘুষ দিয়ে শিশু হয়েও সুপার বনে যান। আর প্রতিষ্ঠান এমপিও হওয়ার পর তিনি এখন অবৈধ নিয়োগ দেয়া শুরু করেছেন বলে অভিযোগ।

এদিকে, গোপন নিলাম স্টাইলে কেশবপুরের নতুন মূলগ্রাম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৩ জন কর্মচারী নিয়োগের নামে ৪০ লাখ টাকা অর্থবানিজ্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মুক্তিযোদ্ধা, জমিদাতা পরিবারের প্রার্থী, এমনকি যোগ্য কয়েক প্রার্থী ১৪ লাখ টাকা দিতে না পারায় তাদের নিয়োগ হয়নি। নিয়োগ বিধিমালা উপেক্ষা করে প্রাইমারি পাশ না করা এক প্রার্থীকেও নিয়োগ দেয়া হয়েছে। দ্রুত ওই নিয়োগ বাতিল করে স্বচ্ছতার মাধ্যমে নিয়োগ দাবি করে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেন ওই গ্রামের জাহিদ হোসেন নামে একজন। প্রধান শিক্ষক অজিত মুখার্জীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে স্কুলের অবকাঠামোগত দৈন্যদশার কথা সামনে এনে নিয়োগ বাণিজ্যের ৪০ লাখ টাকা পকেটস্থ না করে স্কুল উন্নয়নে কাজে লাগানোর দাবি জানিয়েছিলেন তিনি।

জাহিদ হোসেন অভিযোগ করেছিলেন, যশোরের কেশবপুর উপজেলার নূতনমূল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে একজন অফিস সহায়ক, একজন পরিচ্ছন্নতা কর্মী এবং একজন আয়া নিয়োগ দেয়া নিয়ে গোপন টেন্ডার স্টাইলে পদ বিক্রির নীল নকসা করছিলেন প্রধান শিক্ষক। মিশন বাস্তবায়ন করতে সম্ভাব্য প্রার্থীদের পরিবারের সাথে কয়েক মাস আগে থেকেই পদের দর ওঠানোর অনৈতিক কর্মকান্ড করে বেড়াচ্ছিলেন প্রধান শিক্ষক অজিত কুমার মুখার্জী। একজন জনপ্রতিনিধির নাম ভাঙিয়ে আগাম টাকার চুক্তি করে পদ বিক্রি করে বেড়াচ্ছিলেন। এলাকার কমপক্ষে ৯টি পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে পৃথকভাবে তাদের ওই নিয়োগ চুক্তিও করেছিলেন মৌখিকভাবে। এলাকার জুবায়ের হোসেন, মুন্নিয়ারা, বিল্লাল হোসেন, শহীদ হোসেন. আল আমিন, কামরুজ্জামান, নারগিস পরিভীন, নয়ন কর্মকারসহ ৯ জন প্রার্থীর অভিভাবকের সাথে দেন দরবার ও টাকা বাড়াতে মরিয়া হয়ে ওঠেন প্রধান শিক্ষক। তিনি প্রচার করেন প্রার্থী ৯ জন, নেয়া হবে ৩ জন। একটি পদে ১৪ লাখ টাকার প্রার্থী পাওয়া গেছে হয়তো তার নিয়োগই চুড়ান্ত হবে। এরপর নিয়োগ বোর্ড বসিয়ে নিয়োগ দেয়া হয়েছে তিন জনকে। এরা হচ্ছে অফিস সহায়ক পদে আল আমিন, পরিচ্ছন্নতা কর্মী পদে কামরুজ্জামান ও আয়া পদে নার্গিস পারভীনকে ।

স্থানীয়দের অভিযোগ, নিয়োগ পাওয়া কামরুজ্জামানের বয়স ৪০ থেকে ৪২ বছর। তিনি প্রাইমারিও পাশ করেননি। থাকতেন বিদেশে। দেশে ফিরে মোটা টাকায় ৮ম শ্রেণি পাশের সনদ কিনে জমা দিয়েছেন। তিনি পড়াশুনা করেছেন মর্মে প্রাইমারি বা কোনো হাইস্কুলের নাম পর্যন্ত উচ্চারণ করে বলতে পারবেন না।

স্থানীয়দের দাবি, অপর দু’প্রার্থী আল আমিন ও নারগিস পারভীন টাকার দৌঁড়ে এগিয়ে নিয়োগ পেয়ে গেছেন প্রধান শিক্ষকের কারসাজিতে। এসব নিয়ে অভিযোগ করায় নানামুখি তদন্ত শুরু হয় প্রধান শিক্ষক অজিত মুখার্জীর বিরুদ্ধে। এসময় তিনি প্রকাশ্যে রাস্তায় ফেলে হত্যার হুমকি দেন অভিযোগকারী জাহিদ হোসনকে। কিছুদিন পর মারা যান জাহিদ হোসেন। আর ধামাচাপা রয়েছে ৪০ লাখ টাকার ঘুষ বানিজ্যের নিয়োগ কাহিনী। বহাল রয়েছেন অবৈধভাবে নিয়োগ পাওয়া কামরুজ্জামান গং।

নূতন মূলগ্রামের লোকজন জানিয়েছেন, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অজিত মুখার্জী ঘুষ আদায়ের কারিগর। যিনি গোপনে স্কুলের পদ নিলাম করেছেন, ৪০ লাখ টাকার বাণিজ্য করেছেন একজন জনপ্রতিনিধির নাম ভাঙিয়ে। ওই জনপ্রতিনিধি কিছু না জানলেও এলাকা গরম করে টাকা বাড়িয়েছেন। এলাকায় নানা প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে মানুষের মধ্যে ওই চাকরি পাওয়া জেদ বাড়িয়ে দিয়ে পদ বিক্রির রেট বাড়িয়েছেন। আর ঠান্ডা মাথায় সমুদয় টাকা পকেটস্থ করেছেন। তার প্রতিবাদ করায় হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে অভিযোগকারীকে। আর তারপর মৃত্যু হয়েছে অভিযোগকারী জাহিদ হোসেনের।

যশোর সদর উপজেলার ৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগে অস্বচ্ছতা অসঙ্গতি নিয়ে কথা হয় উপজেলা শিক্ষা অফিসার রবিউল ইসলামের সাথে। তিনি জানিয়েছেন, অভিযোগগুলো অনেকটাই সত্য। যে কারণে প্রতিষ্ঠানে কমিটি নিয়োগ দিলেও জালজালিয়াতির ও অসংগতিপূর্ণ কাগজপত্রের তঞ্চকতাপূর্ণভাবে নিয়োগ পাওয়াদের বেতন ছাড় হয়নি। তাদের ব্যাপারে জোরালো তদন্ত হচ্ছে। নিয়োগ পাওয়ার সময় থেকে কাগজপত্র পর্যালোচনা করা হচ্ছে। নিয়োগে অস্বচ্ছতা থাকলে কারো বেতন হবে না। সরকারি অর্থ তসরুপ করার কোনো সুযোগ নেই। এ ব্যাপারে শিক্ষা বিভাগ সব সময় সজাগ রয়েছে।

এ ব্যাপারে সাড়াপোল মাদ্রাসার সুপার সিরাজুল ইসলাম, নারাঙ্গালী মাদ্রাসার শরিফুল ইসলাম ও রুপদিয়া নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রশান্ত কুমার বিশ্বাসের সাথে কথা বললে তারা অনৈতিক পন্থায় নিয়োগের বিষয় অস্বীকার করেন। তারা অর্থবানিজ্যের অভিযোগগুলোও অস্বীকার করেন। সিরাজুল ইসলাম জানান, কয়েকজনের নিয়োগ নিয়ে কাগজপত্রে জটিলতা হয়েছে। তাদের বেতন হয়নি। আর ও ব্যাপারে প্রতিষ্ঠান থেকে হাল ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তবে কয়েকজনের বেতন হয়ে যাবে বলেও জানান তিনি। প্রতিষ্ঠানে আওয়ামী ঘরানা থেকে নতুন সভাপতি আসছেন বলেও জানান তিনি।

শরিফুল ইসলাম জানিয়েছেন, জাল জালিয়াতির মাধ্যমে কোনো নিয়োগ দেয়া হয়নি। আর নিয়োগ পেয়েও বেতন হয়নি এমন শিক্ষক তার নেই। কেউ প্রচার করলে তার সাথে তিনি জড়িত নন।

রুপদিয়া নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস জানিয়েছেন, নতুন এমপিও প্রতিষ্ঠান। কয়েকটি নিয়োগ নিয়ে জটিলতা হয়েছে। যা কটিয়ে ওঠার চেষ্টা করা হচ্ছে। ফোনে সব বলা সম্ভব নয়। সাক্ষাতে বিস্তারিত আলোচনা করতে পারবেন তিনি।

এদিকে নতুনমুল স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতির ব্যাপারে কথা হয় প্রধান শিক্ষক অজিত মুখার্জীর সাথে। তিনি গ্রামের কাগজকে জানিয়েছেন, এলাকা থেকে নানা অভিযোগ তার বিরুদ্ধে করতেই পারে। তিনি স্বচ্ছভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন। ১০ লাখ টাকা থেকে ১৪ লাখ টাকা আদায়ের যে সব অভিযোগ তা সত্য নয়। অনেকে চাকরি না পেয়ে এমন ভুলভাল কথা বলতেই পারে। আর অভিযোগকারী জাহিদ হোসেনকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন এমন অভিযোগও সত্য নয়।

Facebook
Twitter
WhatsApp
Pinterest
Telegram

এই খবরও একই রকমের

তীব্র তাপদাহে পুকুরে ডুবে প্রাণ গেল ভাই-বোনের

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে বইছে তীব্র তাপদাহ, এই পরিস্থিতিতে ভোলার চরফ্যাশনে পুকুরে ডুবে মারা গেল ভাই-বোন। শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে শশীভূষণ থানাধীন রসুলপুর ইউনিয়নের

বিয়ে বিচ্ছেদে এগিয়ে নারীরা, দিনে ১৪টি আবেদন

বাড়ছে বিয়ে বিচ্ছেদ। মহামারির মতো সারা দেশেই ছড়িয়ে পড়ছে বিয়ে বিচ্ছেদের প্রবণতা। চলতি বছরের শুরু থেকে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত চট্টগ্রাম শহরে বিয়ে বিচ্ছেদ চেয়ে সিটি

ড.ইউনূসের বিরুদ্ধে গ্রামীণ ব্যাংকের খতিয়ান ধ্বংস ও বিলুপ্ত করার অভিযোগ’

ঠিকানা টিভি ডট প্রেস: প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৯৯০ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত গ্রামীণ ব্যাংকের বিভিন্ন খতিয়ান ধ্বংস ও বিলুপ্ত করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন

বিএফডিসিতে গণমাধ্যমকর্মীদের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

জহুরুল ইসলাম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: বিএফডিসিতে গণমাধ্যমকর্মীদের উপর হামলার প্রতিবাদে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ১১ টায় টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের

‘ডি এন এ পরীক্ষায় বেরিয়ে এলো অভিশ্রুতির পরিচয়’

ঠিকানা টিভি ডট প্রেস: বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারানো সাংবাদিক অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি’) ডিআইজি

রাসেলস ভাইপার নিয়ে হুলুস্থুল কাণ্ডের পর পুরস্কার ঘোষণা প্রত্যাহার

ঠিকানা টিভি ডট প্রেস: জীবিত হোক বা মৃত, কোনো প্রকার রাসেল ভাইপারের জন্য কোনো পুরস্কার নেই বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি