ঠিকানা টিভি ডট প্রেস: মানুষের মুঠোয় ফোন,না ফোনের মুঠোয় মানুষ? অ্যাকচুয়ালে আনন্দে নেই, বরং ভার্চুয়ালে মেতেছে বিশ্ব। পকেটের কড়ি খরচ করে বেড়াতে গিয়েও ক্যামেরাই তাদের চোখ। বেড়াতে গিয়ে ‘সেকেন্ড হ্যান্ড’ সূর্যোদয় দেখেই আনন্দ নেটিজেনের। হ্যাঁ, নেটিজেন। যেহেতু সিটিজেনের দিন গিয়েছে। ফলে মা-বাবা, স্বামী-স্ত্রী-সন্তান ছাড়াও সংসারে বাঁচা সম্ভব, কিন্তু ফোন ছাড়া সম্ভব নয় কখনই। তারই চূড়ান্ত দৃষ্টান্তের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সম্প্রতি। যেখানে দেখা গিয়েছে, একটানা ফোনালাপে মগ্ন মা সবজির বদলে কোলের সন্তানকেই রেফ্রিজারেটরের ভরলেন তিনি! এটা সত্যি যে আজকের দিনে সোশাল মিডিয়ার একাধিক কার্যকরী ভূমিকা রয়েছে। ফোনের মাধ্যমে যাবতীয় কাজ সারা সম্ভব। প্রয়োজনের পাশাপাশি বিনোদনেরও হাজার সম্ভার রয়েছে স্মার্টফোনে। তারপরেও এই কাণ্ড মেনে নেয়া কঠিন। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, নিজের বাড়িতে এক তরুণী মা ও তার সন্তানকে। শিশুসন্তান মেঝেতে আপন মনে খেলছে। ফোনে কথা বলতে বলতেই তার দেখভাল করছেন তরুণী। এর মধ্যেই ফোন ছেড়ে সবজি কাটতে ব্যস্ত হন মা। এর পরই ঘটে বিপজ্জনক মজার কাণ্ড। ফোনের নেশায় মশগুল মা সবজির বদলে তার সন্তানকে রেফ্রিজারেটরের ভিতরে ঢুকিয়ে দেন। খানিক বাদে সেখানে হাজির হন শিশুর পিতা। সন্তান কোথায়, জানতে চান স্ত্রীর কাছে। এতেই টনক নড়ে তরুণীর। দুজনে মিলে গোটা বাড়ি তন্ন তন্ন করে খুঁজতে শুরু করেন তারা। তাতে শিশুটিকে পাওয়ার কথা নয়, পানওনি তারা। শেষ পর্যন্ত ভয়ংকর ঠান্ডা ও শ্বাসকষ্টে শিশুটি মরণকান্না কেঁদে উঠলে রেফ্রিজারেটর থেকে উদ্ধার করা হয় তাকে। এই ঘটনায় বোঝা যায়, ফোন কীভাবে মানুষের স্বাভাবিক জীবনকে ধ্বংস করছে। যেখানে দায়িত্বজ্ঞান তো বহু দূর, যুক্তিবুদ্ধিরও অস্তিত্ব থাকছে না। ফোন কি মানুষের জন্য এতটাও জরুরি হতে পারে, যেখানে ভুলবশত মা তার সন্তানের মৃত্যুর কারণ হয়ে উঠছেন। এই প্রশ্ন তুলে সচেতনতার বার্তা দিল বর্তমান ভিডিওটি।
ঢাবি ক্যাম্পাসে মোবাইলে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ
নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এলাকায় রোববার মধ্যরাতে ফোর-জি নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এতে ওই এলাকায় মোবাইলে ইন্টারনেট সেবা পাওয়া