নিজস্ব প্রতিবেদক: মামলা থেকে নাম বাদ দেওয়া ও নতুন নাম অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্যে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানা বিএনপির সভাপতি ও জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মতিয়ার রহমান সরকার মতি স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে গোপন আঁতাত করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।’
সলঙ্গার একটি হোটেলে বসে তারা এ আঁতাত করেন বলে স্থানীয় বিএনপি দলীয় নেতাকর্মীদের অভিযোগ।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আন্দোলন চলাকালে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলাসহ বাসা-বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনার পর বিশেষ সুবিধা নিয়ে মামলা থেকে বাঁচাতে ও নতুন নাম অন্তর্ভুক্ত করতে ২৭ আগস্ট গভীর রাতে সলঙ্গা থানা বিএনপির সভাপতি ও জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মতিয়ার রহমান সরকার মতি স্থানীয় প্রভাবশালী কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে সলঙ্গা থানার রামারচর এলাকার রয়েল রূপালী হোটেলে বসে বৈঠক করেন।
ওই বৈঠকের একটি ভিডিও চিত্র স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে এ নিয়ে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
বৈঠকে আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সলঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুর রশীদ বিএ, সলঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শফি কামাল শফি, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক সদস্য, থানা যুবলীগের সভাপতি ও সলঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা শামসুল আলম, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।’
এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বিএনপির একাধিক নেতা জানান, মামলা থেকে নাম বাদ দেওয়া ও নতুন নাম অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্যেই এ গোপন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ ধরনের নেতার কারণে দলের ভাবমূর্তি দারুণভাবে ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। এখন কর্মকাণ্ডের সঠিক শাস্তি দাবি করেন তারা।
এ ব্যাপারে সলঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুর রশীদ বিএ বলেন, আমি অসুস্থ। বৈঠকে কী কথা হয়েছে তা বলতে পারব না।
সলঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা শফি কামাল শফি বলেন, বিএনপি নেতা মতিয়ার রহমান মতি সাহেবের সঙ্গে আমাদের ব্যক্তিগত সম্পর্ক। তাই মামলা সংক্রান্ত আলাপ আলোচনা হলেও কোনো আঁতাত হয়নি।
তবে অভিযুক্ত সলঙ্গা থানা বিএনপির সভাপতি ও জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মতিয়ার রহমান সরকার মতি আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়টি স্বীকার করলেও অন্যান্য অভিযোগ অস্বীকার করেন।’