‘মন্ত্রী নেই তাদের আওয়াজও বন্ধ’

নিজস্ব প্রতিবেদক: মন্ত্রিত্ব হারিয়েই আওয়াজ বন্ধ হয়ে গেছে তাদের। যদিও তারা সংসদ সদস্য হিসেবে আছেন। আওয়ামী লীগেও তাদের উপস্থিতি রয়েছে। কিন্তু তারপরও মন্ত্রিত্ব হারিয়ে যেন তারা সব হারিয়ে ফেলেছেন।

২০১৮ মন্ত্রিসভায় আলোচিত তিন মন্ত্রীর কথা বলছি। এই তিনজন মন্ত্রী নানা বক্তব্যের কারণে আলোচিত সমালোচিত ছিলেন। তাদের বাকপটুতা নিয়ে চর্চা হত দলে, দলের বাইরে। এমনকী জাতীয় সংসদেও তাদের নিয়ে তীব্র সমালোচনা হতো বিভিন্ন সময়ে। সেই তিন মন্ত্রী এখন নীরব। মন্ত্রিত্ব থেকে বাদ পড়া এই তিনজন এখন পাদপ্রদীপে নেই। তাদের কথাবার্তা খুব একটা শোনা যাচ্ছে না।

মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়াদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচিত হলেন,

টিপু মুনশি: টিপু মুনশি গত মেয়াদে বাণিজ্যমন্ত্রী ছিলেন। বাণিজ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি লাগামহীন কথাবার্তা বলার জন্য আলোচিত ছিলেন। যে কোন বিষয়ে তিনি এমন সব কথাবার্তা বলতেন যা জনগণের কাছে প্রথমে হাস্যকর এবং পরে বিরক্তিকর হিসেবেই প্রতিপন্ন হত। টিপু মুনশি একদিকে বলছিলেন যে, তিনি সিন্ডিকেটের কাছে অসহায়, সিন্ডিকেট বন্ধ করলে বাজার অস্থির হয়ে যাবে। প্রধানমন্ত্রীকে যখন সাংবাদিকরা বললেন, টিপু মুনশি এ ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন যে, আমি তাকে ধরব। এর পরপর তিনি বক্তব্য পাল্টে ফেললেন। একজন সীমাহীন, ব্যর্থ এবং অযোগ্য মন্ত্রীর প্রতীক ছিলেন টিপু মুনশি। মন্ত্রিত্ব যাওয়ার পর এখন তাকে দৃশ্যমান দেখা যায় না। সংসদে এবং এমনকি রাজনীতির মাঠেও তার পদচারণা বিরল ঘটনা।

ড. এ কে আব্দুল মোমেন: ড. এ কে আব্দুল মোমেন আরেকজন মন্ত্রী ছিলেন যিনি অতিকথনের জন্য আলোচিত এবং সমালোচিত হয়েছিলেন। ভারতের সঙ্গে আমাদের স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক কিংবা ভারতকে বলেছি, শেখ হাসিনাকে আবার ক্ষমতায় আনতে হবে ইত্যাদি অনভিপ্রেত বিতর্কিত কথাবার্তা বলার জন্য ড. মোমেন সমালোচিত ছিলেন। কূটনীতিক শিষ্টাচারের বাইরে গিয়ে হঠাৎ করে বিভিন্ন বিষয়ে ডাল ভরা বুলি আওড়ানোর জন্য তিনি সকলের তামাশার পাত্রে পরিণত হয়েছিলেন। এমনকী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে তার বক্তব্য নানা রকম বিতর্কের সৃষ্টি করেছিল। সেই ড. এ কে আব্দুল মোমেন এখন মন্ত্রিসভায় নেই। তাকে সিলেটের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মাঝেমাঝেই দেখা যায়। তবে জাতীয় রাজনীতিতে তিনি পদচারণাহীন।

জাহিদ মালেক: গত মেয়াদে আলোচিত ক্ষমতাধর স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে পরিচিত ছিলেন জাহিদ মালেক। যদিও তিনি স্বাস্থ্যখাতে সীমাহীন ব্যর্থতার সাক্ষী এবং প্রতীক। কিন্তু সবসময় তিনি নিজেকে দাবি করতেন সেরা স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে। তার সময় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতি, অনিয়মের এক রেকর্ড হয়েছিল। কিন্তু এ সমস্ত দুর্নীতি এবং অনিয়মের বিসয় তিনি বেমালুম অস্বীকার করতেন। বরং নিজের সাফল্যের পুরস্কার নিজেই গ্রহণ করতেন। জাহিদ মালেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী থেকে বিদায় নিয়েছেন। নতুন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন ডা. সামন্ত লাল সেন। এখন জাহিদ মালেককেও আর পাদপ্রদীপে দেখা যায় না। তিনি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সংসদীয় কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন বটে, সেখানে একটি অনুষ্ঠানে তাকে দেখা গিয়েছিল। এছাড়া রাজনীতির মাঠে আর কোন আলো ছড়াচ্ছেন না।’

Facebook
Twitter
WhatsApp
Pinterest
Telegram

এই খবরও একই রকমের

কোরআন পোড়ানোর প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিলের ডাক রাবি শিবিরের

রাবি প্রতিনিধি: পবিত্র আল-কোরআন পোড়ানোর প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ইসলামী ছাত্রশিবির। বৃহস্পতিবার (২২ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের

গোয়েন্দা নজরদারিতে বাজারের সিন্ডিকেটের হোতারা’

নিজস্ব প্রতিবেদক: টানা চতুর্থ মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণ করে আওয়ামী লীগ সরকার তার প্রধান অগ্রাধিকার হিসাবে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণকে চিহ্নিত করেছে। দায়িত্ব গ্রহণের পরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

সম্প্রসারিত মন্ত্রিসভায় ফোন পেলেন যারা’

নিজস্ব প্রতিবেদক: আজ শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বঙ্গভবনে সম্প্রসারিত মন্ত্রিসভার নতুন সদস্যরা শপথ গ্রহণ করবেন। এতে যুক্ত হচ্ছেন আরও সাতজন। এরই মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে

ভারতবিরোধী পোস্টে লাভ রিয়েক্ট দেয়ায় ফেরত পাঠানো হলো বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে

ঠিকানা টিভি ডট প্রেস: ভারতবিরোধী একটি পোস্টে ‘লাভ রিয়েক্ট’ দেওয়ায় আসামের জাতীয় প্রযুক্তি ইনস্টিটিউট (এনআইটি) থেকে এক বাংলাদেশি ছাত্রীকে বহিষ্কার করার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (২৭

মন্ত্রীর পিএসের গৃহকর্মীর বাসায় কোটি কোটি টাকা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতে এক মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারীর (পিএস) গৃহকর্মীর বাসায় পাওয়া গেল কোটি কোটি টাকা। সোমবার (৬ মে) দেশটির আর্থিক দুর্নীতিসংক্রান্ত তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট

জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ উহার সকল অঙ্গ সংগঠনকে নিষিদ্ধ সত্ত্বা হিসেবে তালিকাভুক্ত করে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ