ঠিকানা টিভি ডট প্রেস: দুই দলের শুরুটা ছিল সাবধানী। তবে সময় বাড়লে মধ্যমাঠের দখল নিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টায় থাকে ভারত। কিন্তু বাংলাদেশের রক্ষণে আফিদা-জয়নবরা ছিলেন সতর্ক। প্রথমার্ধ ভারতের মেয়েদের হলে দ্বিতীয়ার্ধ ছিল বাংলাদেশের।’
আক্রমণে আধিপত্য দেখিয়ে গোলের আশা জাগাচ্ছিলেন বারবার।
মনে হচ্ছিল এই বুঝি গোল পেয়ে যাবে। শেষ পর্যন্ত গোল এলো যোগ করা সময়ে। আফিদা খন্দকারের বাড়ানো লম্বা বল ভারতের অর্ধে পেয়ে বক্সে ঢুকে ঠাণ্ডা মাথায় বল জালে পাঠান সাগরিকা।’
১-০ গোলে ম্যাচ জয়ের সঙ্গে অনূর্ধ্ব-১৯ সাফের ফাইনালও নিশ্চিত করে ফেলে বাংলাদেশ।
এই হারে ফাইনালে যাওয়ার সুযোগ আছে ভারতের সামনেও। পরের ম্যাচে হারাতে হবে নেপালকে। সুযোগ থাকছে নেপালেরও।
গতকাল ভুটানকে ১-০ গোলে হারানোয় শেষ রাউন্ডে ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে থাকছে তারাও। কমলাপুরে প্রথম সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশই। আফিদার দূরপাল্লার ফ্রি কিক অবশ্য চলে পোস্টের খানিকটা উপর দিয়ে। একটু পরেই বাংলাদেশের রক্ষণের ভুলে সুযোগ পেয়ে যায় ভারত কিন্তু ভারতের মিডফিল্ডার পূজা বলের নাগাল পাওয়ার আগেই স্লাইডে ক্লিয়ার করেন গোলরক্ষক স্বপ্না রানী।’
দ্বিতীয়ার্ধে খেলায় প্রাণ ফেরায় সাইফুল বারীর শিষ্যরা।
সাগরিকা-পূজা দাসরা আক্রমণে মনোযোগী হলে চাপে পড়ে যায় ভারতের মেয়েরা। পর পর তিনটি প্রচেষ্টায় গোল করতে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশের আক্রমণভাগ। এরপর মুনকি আক্তারের শট এগিয়ে এসে ফেরান ভারতের গোলরক্ষক আনিকা দেবী। তাতে ম্যাচ ড্রয়ের পথেই এগোচ্ছিল। কিন্তু আগের ম্যাচেই জোড়া গোল করা সাগরিকা এদিন শেষ মুহূর্তে এনে দেন কাঙ্ক্ষিত গোল।’