নিজস্ব প্রতিবেদক: চুনারুঘাট আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতাকর্মী আত্মগোপনে চলে গেছেন। মোবাইল ফোনও বন্ধ রয়েছে তাদের। আওয়ামী লীগ সরকারের আচমকা পতনের পর নেতাকর্মীরা মনোবল হারিয়ে অনেকটা নির্বাসিত জীবনযাপন করছেন। তৃণমূল পর্যায়ের নগণ্যসংখ্যক কর্মীদের বাজার-হাটে দেখা গেলেও নেতারা কেউই রাস্তাঘাটে চলাফেরা করছেন না।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকেই চুনারুঘাট আওয়ামী লীগে ভাঙন দেখা দেয়। এ সুযোগে স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ সায়েদুল হক (ব্যরিস্টার সুমন) বিপুল ভোটে নৌকার প্রার্থী এডভোকেট মাহবুব আলীকে পরাজিত করেন। নির্বাচনের পর ব্যরিস্টার সুমন নিজেকে আওয়ামী লীগের নেতা হিসাবে জাহির করার চেষ্টা চালান এবং পছন্দমতো ছাত্রলীগ কমিটি গঠনে মনোনিবেশ করেন। ৫ই আগস্ট দলের সভাপতি শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পরপরই দাপুটে নেতারা আত্মগোপন করেন। ছাত্রদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ভবিষ্যৎ আঁচ করতে পেরে ব্যরিস্টার সুমন এলাকা ছেড়ে চলে যান এবং নিজেকে লুকিয়ে রাখেন। তিনি দেশের ভেতরে কোথাও লুকিয়ে আছেন নাকি আমেরিকা তার পরিবারের কাছে চলে গেছেন তা এখনো স্পষ্ট নয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তার ঘনিষ্ঠ এক বন্ধু জানান,বোরকা পরে ঢাকা বিমানবন্দর থেকে ব্যরিস্টার সুমন বর্তমানে আমেরিকা আছেন যদিও এ তথ্যের কোনো নির্ভরযোগ্যতা নেই। এদিকে চুনারুঘাট আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট আকবর হোসেন জিতু, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আলী, সাবেক সম্পাদক আবু তাহের, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল কাদির লস্করসহ দলের শীর্ষ নেতারা আত্মগোপনে রয়েছেন।’