ঠিকানা টিভি ডট প্রেস: বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বুধবার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ১৯ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলারে। মঙ্গলবার রিজার্ভে ছিল ২০ বিলিয়নের বেশি ডলার। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আরও কমেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, জানুয়ারিতে রিজার্ভ কমেছে প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার। গত ৩ জানুয়ারি রিজার্ভে ছিল ২ হাজার ৭০০ কোটি বা ২৭ বিলিয়ন ডলার। সংকটের কারণে ডলার বিক্রি অব্যাহত থাকায় ৩১ জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্রস রিজার্ভ কমে দাঁড়ায় ২ হাজার ৫০৯ কোটি (২৫ দশমিক ০৯ বিলিয়ন’) ডলারে। অর্থাৎ জানুয়ারিতেই রিজার্ভ কমেছে প্রায় ২০০ কোটি ডলার। আর গত বছরের একই সময়ের চেয়ে গ্রস রিজার্ভ কমেছে সাত বিলিয়নেরও বেশি ডলার। ২০২১ সালের আগস্টে রিজার্ভ দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ঘর ছাড়িয়েছিল। এরপর রিজার্ভ থেকে প্রায় ২৯ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এদিকে আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী, বিপিএম-৬ মেথডের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবের সঙ্গে ৫২১ কোটি ডলারের পার্থক্য রয়েছে। অর্থাৎ বিপিএম-৬ ম্যানুয়াল অনুযায়ী গ্রস রিজার্ভ এখন ১ হাজার ৯৯৪ কোটি ডলার। অর্থাৎ জানুয়ারিতে বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ কমেছে প্রায় সাড়ে ৩ বিলিয়ন ডলার।
রেমিট্যান্স, রপ্তানি আয়, বিদেশি বিনিয়োগ, বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার ঋণ থেকে পাওয়া ডলার দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তৈরি হয়। আবার আমদানি ব্যয়, ঋণের সুদ বা কিস্তি পরিশোধ, বিদেশি কর্মীদের বেতন-ভাতা, পর্যটক বা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনাসহ বিভিন্ন খাতে ব্যয়ের মাধ্যমে বিদেশি মুদ্রা চলে যায়। এভাবে আয় ও ব্যয়ের পর যে ডলার থাকে, সেটাই রিজার্ভে যোগ হয়। বেশি খরচ হলে রিজার্ভ কমে যায়।’