নিজস্ব প্রতিবেদক: গাজীপুরে দুই হাজার ২২৩টি বিভিন্ন কারখানার মধ্যে দুই হাজার ১৩৮টি কারখানায় মার্চ মাসের বেতন পরিশোধ করেছে। বাকি ৮৫টি কারখানায় মার্চের বেতনও পরিশোধ করেনি কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া ওইসব কারখানার মধ্যে দুই হাজার ২০৭টি কারখানার শ্রমিকদের ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন পরিশোধ করেছে শুধু। বেতন বোনাস না পেয়ে ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাওয়া শ্রমিকের সংখ্যা ১০ হাজারের বেশি।
বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) গাজীপুর শিল্প পুলিশের দেওয়া পরিসংখ্যানে ওই তথ্য পাওয়া গেছে।
জানা যায়, ঈদুল ফিতরের ছুটিতে যাওয়ার আগে ফেব্রুয়ারি মাসের আরো ১৬টি কারখানার বেতন বকেয়া রয়েছে। তবে এবার ২ হাজার ১৮৭টি কারখানায় ঈদ বোনাস প্রদান করলেও ৩৬টি কারখানায় ঈদ বোনাস বকেয়া রয়েছে।
গাজীপুর শিল্পাঞ্চল পুলিশ সুপার (এসপি’) মোহাম্মদ সারওয়ার আলম জানান, গাজীপুরে বিজিএমইএ’র মোট ৭৩৭টির মধ্যে ৭১০টি, বিকেএমইএ’র মোট ১৩২টির মধ্যে ১২৮টি, বিটিএমএ’র মোট ১৩০টির মধ্যে ১২৬টি এবং অন্যান্য ১ হাজার ২২৪টি কারখানার মধ্যে ১ হাজার ১৭৪টি কারখানায় মার্চের বেতন পরিশোধ করলেও এ মাসে বেতন বাকি রয়েছে ৮৫টি কারখানায়।’
এ ছাড়াও বিজিএমইএ’র ৫টি, বিকেএমইএ’র ১টি, বিটিএমএ’র ১টি এবং অন্যান্য ৯টিসহ মোট ১৬টি বিভিন্ন কারখানায় ফেব্রুয়ারি মাসের বেতনও বকেয়া রয়েছে।
সারওয়ার আলম আরো জানিয়েছেন, বিজিএমইএ’র মোট ৭৩৭টির মধ্যে ১২টি, বিকেএমইএ’র মোট ১৩২টির মধ্যে ৪টি, অন্যান্য ১ হাজার ২২৪টি কারখানার মধ্যে ২০টি কারখানাসহ মোট ৩৬টি কারখানায় এবার ঈদ বোনাস পরিশোধ করতে পারেনি। তবে বিটিএমএ’র মোট ১৩০টির মধ্যে ১৩০টি কারখানায় ঈদ বোনাস পরিশোধ করেছে বলেন জানিয়েছেন এসপি সারওয়ার আলম।
এসব কারখানায় শ্রমিকরা ঈদ বোনাস না পেয়ে শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিলে মালিক কর্তৃপক্ষ ঈদের পরে বোনাস প্রদানের জন্য শ্রমিকদের সঙ্গে সমঝোতা করলে তারা মেনে নেন।
পুলিশ সুপার আরো জানান, ২ হাজার ২২৩টি কারখানার মধ্যে গত ক’দিনে ঈদের ছুটি দেওয়া হয়েছে ১ হাজার ৯৭৬টিতে, অদ্য ছুটি দেওয়া হয়েছে ১ হাজার ৪২টি কারখানা। এ ছাড়াও বিভিন্ন সমস্যার কারণে (শ্রমিক-মালিক সমঝোতার মাধ্যমে) ছুটি দেবে না ৩৪টিতে এবং ২টি কারখানা আংশিক খোলা রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে কর্তৃপক্ষ।’